• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকারকে সহায়তা করবো: সেনাপ্রধান রাজশাহীতে এআইআইবিকে বাস্তব জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনের জন্য বিনিয়োগের দাবিতে সমাবেশ রাজশাহীতে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার উপর গুলি বর্ষণকারী রবি গ্রেপ্তার রাজশাহীতে অ্যান্টিবায়োটিকের ড্রাগ ও প্রসাধনী আইন বিষয়ে ঔষধ ব্যবসায়িদের মতবিনিময় বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে রাজশাহীর তামান্নার ভ্রমন রিমান্ড শেষে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত কারাগারে রাজশাহীতে চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে রাসিকের মতবিনিময় সভা রাজশাহীতে ‘মার্সেল হা-শো’র অডিশন বুধবার

‘ঘন দেয়া বরষে এলো আষাঢ়’

Reporter Name / ২১৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : বাঙালীর অন্যতম প্রিয় ঋতু বর্ষা এসে গেছে। আজ মঙ্গলবার ১ আষাঢ়। আষাঢ়স্য প্রথম দিবস থেকে আনুষ্ঠানিক শুরু হলো বর্ষার।

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুই মাস বর্ষাকাল। প্রিয়ঋতু ঘিরে বাঙালীর আবেগ উচ্ছ্বাসের কোন শেষ নেই। বর্ষাকে স্বাগত জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘তোমার মন্ত্রবলে পাষাণ গলে, ফসল ফলে /মরু বহে আনে তোমার পায়ে ফুলের ডালা।’ নজরুলের ভাষায়: ‘রিম্ঝিম্ রিম্ঝিম্ ঘন দেয়া বরষে।/কাজরি নাচিয়া চল, পুর-নারী হরষে।’ ভাটি বাংলার লোকসাধক উকিল মুন্সির গানেও খুঁজে পাওয়া যায় বর্ষাকে, যেখানে তিনি সুরে সুরে বলছেন, ‘যেদিন হইতে নয়া পানি আইলো বাড়ির ঘাটে সখি রে/অভাগিনীর মনে কত শত কথা ওঠে রে…।

অবশ্য আজ আনুষ্ঠানিক শুরু হলেও, গত কয়েকদিন ধরে কম বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে মূলত বর্ষার আগমনী বার্ত ঘোষণা করছিল প্রকৃতি। আর মূল যে শুরু, সেটি আজ থেকে হলো। আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্ষায় জলীয় বাষ্পবাহী দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় বর্ষায়। নিয়মিত বর্ষণে বদলে যায় চারপাশের পরিবেশ। এ সময় ধুলো জমা প্রকৃতি তার শরীর ধুয়ে নেয়। পরিচ্ছন্ন হয়। বেলী, বকুল, জুঁই, দোলনচাঁপা, গন্ধরাজ, হাস্লাহেনার ঘ্রাণে ভরে ওঠে চারপাশ। আর মিষ্টি হাসি হয়ে ফোটে ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল।’ বর্ষা ঘিরে এক ধরনের চিত্ত চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যায়। কেউ বৃষ্টি হতে দেখলে জানালার কাছে ছুটে যান। কেউবা গিয়ে দাঁড়ান বারান্দায়। হাত বাড়িয়ে শীতল বৃষ্টির ফোটা স্পর্শ করেন। আর বৃষ্টিস্লান তো বাঙালী মাত্রই প্রিয়। বর্ষা নিয়ে সাধারণ মানুষের এই প্রেমানুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কবিগুরু লিখেছেন, হৃদয় আমার নাচে রে আজিকে ময়ূরের মতো নাচে রে…। ময়ূরের মতোই বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজে কাটে বাঙালীর শৈশব। গাঁয়ের দুরন্ত ছেলেরা নেমে পড়ে ফুটবল নিয়ে।

বর্ষা অদ্ভুত শিহরণ জাগায় মনে। প্রেমের বোধ উস্কে দেয়। কবিগুরুকে তাই লিখতে হয়, তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা,/কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা…। একই অনুভূতি থেকে নজরুল লিখেছেন, রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ ঝরে শাওন ধারা।/গৃহকোণে একা আমি ঘুমহারা।/ঘুমন্ত ধরা মাঝে/জল-নূপুর বাজে,/বিবাগী মন মোর হলো পথহারা…। ঠিক পরের স্তবকে প্রিয়ার সান্নিধ্য লাভের আকুলতা থেকে কবি লিখেছেন: চেনা দিনের কথা ভেজা সুবাসে,/অতীত স্মৃতি হয়ে ফিরে ফিরে আসে।/এমনি ছলছল ভরা সে-বাদরে/তোমারে পাওয়া মোর হয়েছিল সারা…। কবি নির্মলেন্দু গুণ বেশ মজার কথা বলেছেন। তার মতে, বর্ষাই একমাত্র নারী। একমাত্র রমণী। তিনি আমাদের প্রিয় দ্রৌপদী। বাকি পাঁচ ঋতু হচ্ছে মহাভারতের পঞ্চপাণ্ডব!

আরবিসি/১৫ জুন/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category