• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সার সঙ্কটে রাজশাহীতে ব্যাহত হচ্ছে আলুচাষ, দামও অতিরিক্ত রাজশাহীতে ফের বাস ও সিএনজি চালকের সংঘর্ষ, দুই পক্ষের মীমাংসা স্থগিত কিডনি রোগীর চিকিৎসা আর আইফোন কিনতে ডাকাতির চেষ্টা: পুলিশ তনুর গ্রাফিতিতে পোস্টার সাঁটানো নিয়ে যা বললেন মেহজাবীন

তিনজনের যাবজ্জীবন, ৫ জনের ২০ বছরের দণ্ড

Reporter Name / ১৪৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও আব্দুল লতিফ নামের একজনকে খালাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করেন। সদস্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় চারজনকে হত্যা ও ৯ জনকে আটক এবং নির্যাতনের চারটি অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ তাদের বিচার শুরু হয়। বিচারকাজ শেষ হয় গতবছরের ২৬ শে জানুয়ারি। আসামির মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছেন। পাঁচজনকে হাজির করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।

তবে রায়ের দিন সকালে এসে পলাতক এক আসামি আলিমুদ্দিন খান ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রায় ঘোষণা শেষ হলে সে আসল আসামি কিনা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

গত মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।

এর আগে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছিল।

এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন- প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, সাহিদুর রহমান, জাহিদ ইমাম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস শুকুর খান ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, গফরগাঁওয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১১ জন। এই ১১ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় ২০১৮ সালের ৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। পরে গ্রেফতার একজন ও পলাতক একজনের মৃত্যু হয়।

এ মামলায় গ্রেফতার ছিলেন- মো. খলিলুর রহমান মীর, মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আব্দুল লতিফ। আর পলাতক ছিলেন এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা, আলিম উদ্দিন খান ও নুরুল আমিন শাহজাহান। এর মধ্যে বিচার চলাকালে মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার ও পলাতক থাকা অবস্থায় নুরুল আমিন শাজাহানের মৃত্যু হয়।

২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রাম এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।

আরবিসি/ ১১ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category