• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
ঢাকা বোট ক্লাবের নব-নির্বাচিত সদস্য খন্দকার হাসান কবিরকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ক্লাবের শুভেচ্ছা তানোরে স্থানীয়দের তৎপরতায় জলাশয় ভরাটের মাটি ফেলা বন্ধ রাজশাহীতে কসমিকা ডিসট্রিবিউশন অফিসে দূর্ধর্ষ ডাকাতি কারিতাস আলোকিত শিশু প্রকল্পের শিশু সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা রাণা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ রাজশাহীতে খানকাহ শরীফে লুটপাট,ভাংচুর ও হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার-সংকটে ভারতীয় বিদ্যুতের ১০০ কোটির বকেয়া পরিশোধে হিমশিম বাংলাদেশ ছয়দিন পর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা: বাবা-ছেলেসহ গ্রেফতার ৩ আল্লাহ তোমার বিচার তুমি করো: পরীমণি

বিশ্বের প্রাচীনতম ট্যাটু আঁকার যন্ত্র আবিষ্কার

Reporter Name / ১৩৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : ট্যাটু (tatoo) আর্ট (art) যে বহু পুরোনো তা সকলেরই জানা। আজও বহু আদিবাসী রয়েছে যারা সভ্য জগতের থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন তাদের শরীরে উল্কি আঁকতে দেখা যায়।

সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো ট্যাটু কিট আবিস্কৃত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই ট্যাটু কিট খ্রিস্টপূর্ব ৫৫২০ থেকে ৩৬২০ সালের মধ্যেকার কোনও একটি সময়ের।
খননকারীরা এই ট্যাটু কিট খুঁজে পেয়েছিলেন আসলে ১৯৮৫ সালে। তখন তারা ন্যাশভিলে একটি ব্রিজ তৈরির কাজ করছিলেন। সেই সময়ে তারা এটিকে সাধারণ কোনও যন্ত্র ভেবেছিল। তিন দশকের বেশি সময় ধরে এটি এইভাবেই পড়েছিল।

ডেটার উলফ আবার এগুলোকে ওষুধের বান্ডিল ভেবেছিল। জু আর্কিওলজিস্ট তানেয়া পেরেসের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হবার পরে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যায়। গবেষণায় উঠে আসা অন্য তথ্য। তারা বুঝতে পারেন এটা অন্য জিনিস। শেষে তারা বলেন ওটা ট্যাটু কিট।

জানা গেছে ট্যাটু কিটের মধ্যে ছিল টার্কির হাড় দিয়ে তৈরি সূচ, পাথর, অর্ধেক শাঁস যুক্ত রঙ রাখার জায়গা। রেডিও কার্বন স্টাডির মাধ্যমে জানা গেছে ট্যাটু জন্য ব্যবহৃত সূচগুলো ৫৫২০ থেকে ৩৬২০ সালের মধ্যেকার কোনও একটি সময়ের। এই আবিষ্কার এটাও বলছে যে নর্থ আমেরিকার মানুষরা পূর্ববর্তী ধারণার আরও হাজার বছর আগে থেমেই ট্যাটু আঁকার কাজ করত।

ওটজি নামে বিখ্যাত মমির দেহ থেকে থেকে পাওয়া গিয়েছিল সব থেকে পুরোনো ট্যাটু। বলা হয়েছিল মমিটি ৫২৫০ বছরের পুরনো। তার দেহ থেকে মিলেছিল ৬১টি ট্যাটু।

১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রিয়ার ওটজাল পর্বতমালায় মিলেছিল এক প্রাকৃতিক মমির সন্ধান। স্থানের নামানুসারে মমির নাম রাখা হয়েছিল ওটজি।

মমির খোঁজ মেলার পর থেকেই ওটির উদ্ধার কার্যের সঙ্গে যুক্ত যারা ছিল তাদের সবার সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগই আকষ্মিক ভাবে মারা গিয়েছিল। তাই অনেকেই মমিটিকে অভিশপ্ত বলতে শুরু করে।

ওটজিকে প্রথম দেখতে পেয়েছিলেন জার্মানির পর্যটক হেলমুট সাইমন। ২০০৪ সালে হাইকিংয়ের সময় পড়ে গিয়ে মারা যান। ওটজিকে প্রথম দেখতে পাওয়ার স্থানের কাছেই তার মৃত্যু হয়েছিল। হেলমুটের মৃতদেহ উদ্ধারকারী দলের প্রধান ছিলেন ওয়ারনেক। হেলমুটের শেষ কৃত্যের এক ঘণ্টার মাথায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি।

ওটজির দেহ পরীক্ষা করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ কনরাড স্পিন্ডলার। মারা যান মাল্টিপল সেক্লরোসিসে। ওই মমির ফরেনসিক টিমের প্রধান ছিলেন রেইনার হেন। মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায়। তুষারধসে মারা যান রেইনকে মমির কাছে নিয়ে যাওয়া পর্বতারোহী কার্ট ফ্রিৎজ। ওটজি উদ্ধারের ভিডিও করেছিলেন অস্ট্রিয়ার সাংবাদিক রেইনার হোয়েলজল। তিনিও ব্রেন টিউমারে মারা যান। সব ঘটনাই ছিল আকষ্মিক।

আরবিসি/০১ জুন/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category