• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন

বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ

Reporter Name / ১২৫ Time View
Update : শনিবার, ২৯ মে, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে যে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে, তা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতারই অর্জিত ফসল। আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা-মহামারির মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঐ সকল দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছরের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্থায়ী শান্তির পথ : শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তারুণ্যের শক্তি ব্যবহার’ সময়োপযোগী হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আজ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ।

সরকার প্রধান বলেন, জাতিসংঘ মিশন ও বহুজাতিক বাহিনীতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। এ দেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদা সম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। একই সঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা গর্বভরে স্মরণ করেন। শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি নিহত শান্তিরক্ষীদের যারা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্বদরবারে দেশের পতাকাকে সমুন্নত করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সকল প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। শান্তিরক্ষী সদস্যরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠাদ্বারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন। সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করবেন।

বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তার ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতীম সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।

‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ এর সার্বিক সাফল্য এবং সকল শান্তিরক্ষীর সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরবিসি/২৯ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category