• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান শাখায় হাতাহাতি রাজশাহীতে লাঞ্ছিতের পর ১২ ঘন্টা মেসে অবরুদ্ধ ছাত্রীরা, গ্রেপ্তার ৩ গভীর রাতে রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের দফায় দফায় গু’লি বর্ষণ, জনমনে আতঙ্ক রাজশাহীর বাগমারায় তেলের ট্রাক বিস্ফোরণে পুড়লো ৪শ ব্যারেল তেল, ৮ দোকান রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫

বাতাসেও ছড়ায় করোনাভাইরাস

Reporter Name / ১১৯ Time View
Update : শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস (সার্স-কোভ-২) সংক্রমিত হয় বলে প্রমাণ পেয়েছেন এক দল গবেষক।

করোনাভাইরাস যে বায়ুবাহিত রোগ, তার সপক্ষে ‘ধারাবাহিক ও শক্তিশালী’ প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ছয় বিশেষজ্ঞের একজন কোঅপারেটিভ ইনস্টিটিউশন ফর রিসার্চের রসায়নবিদ ও কোলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোস-লুইস জিমনেজ।

তিনি বলেন, ‘এটি যে বায়ুবাহিত রোগ তার পক্ষে শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে তুলনায় বড় আকারের ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণের প্রমাণ অনেক কম।’

অক্সফোর্ডের ক্রিস গ্রিনহালগের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল প্রকাশিত ওই গবেষণাটি পর্যালোচনা করেছে। তারা বায়ুবাহিত রোগ হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে প্রমাণ পেয়েছেন।

আরেক গবেষক কিম্বারলি প্রাথার বলেন, ‘অবাক করার মতো বিষয় হলো এখনো মানুষ করোনা বায়ুবাহিত কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন করছেন। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো ঘরোয়া সংক্রমণের ঘটনা শুধু বায়ুবাহিত ভাইরাস দ্বারাই ব্যাখ্যা করা যায়।’

ল্যানসেটের ওই পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসগুলো তিনটি প্রধান উপায়ে সংক্রমণ করে থাকে। প্রথমে যোগাযোগের সংক্রমণ, যেখানে কেউ সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে বা ভাইরাসযুক্ত এমন কোনো কিছু স্পর্শ করে।

দ্বিতীয়ত, শ্বাস-প্রশ্বাসের ছোট-বড় ভাইরাসযুক্ত ড্রপলেট সংক্রমণ দ্বারা, যা সংক্রমিত ব্যক্তির নিকটে উপস্থিতির কারণে হতে পারে।

তৃতীয়ত, ছোট ড্রপলেট এবং কণাগুলোর মাধ্যমে সংক্রমণ যা বাতাসে দীর্ঘ দূরত্বে ও সময় ধরে ভাসতে থাকে।

গবেষণাটি বলছে, ‘স্ক্যাগিট কয়ার’ (ওয়াশিংটনের একটি অনুষ্ঠান) এর মতো অনুষ্ঠানকে সুপার-স্প্রেডার (অত্যধিক হারে সংক্রামক) ইভেন্ট বলা হয়েছে, যেখানে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ৫৩ জনকে সংক্রমিত করেছিলেন। তবে শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা, একই বস্তু স্পর্শ করা কিংবা একই ছাদের নিচে সময় কাটানোর মতো ঘটনাগুলোর মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়টি গবেষণার মাধ্যমে পুরোপুরি প্রমাণ করা যায়নি।

এছাড়া, সার্স-কোভ-২ এর সংক্রমণের হার বাইরের তুলনায় বাড়ির ভেতর অনেক বেশি। তবে, ভেতরে সুষ্ঠু বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে এর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে কমে যায়।

গবেষণাটি বলছে, উপসর্গহীন ব্যক্তি, যাদের কাশি বা হাঁচি নেই, তারাও অন্যদের সংক্রমিত করতে পারেন। মোট সংক্রমণের অন্তত ৪০ শতাংশই উপসর্গহীনদের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

ছয় বিশেষজ্ঞ ওই পর্যালোচনায় জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলো যদি বায়ুবাহিত ভাইরাস হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নেয়, তবে মানুষকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব না। ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে পড়বে।

করোনাভাইরাসকে বায়ুবাহিত হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা।

আরবিসি/১৭ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category