স্টাফ রিপোর্টার : প্রথমে প্রেম। মোবাইলে চুটিয়ে আলাপ। ধিরে ধিরে বিশ^াস জয় করে বাড়িতে ডেকে আনা। তারপর যুবককে নগ্ন করে ছবি তুলে চাঁদা আদায়। রাজশাহীতে এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। তারা ফিটিং পার্টির সদস্য। রবিবার পুলিশের অভিযানে ফিটিং পার্টির দুই নারী সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন উপশহর এলাকার রহিমের মেয়ে সাবিনা ওরফে রজনী (২৫), নগরীর শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম ফুলতলার আঃ রশিদের ছেলে আব্দুল গাফফার (৩০) ও নগরীর চন্দ্রিমা থানার নামোভদ্রা এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে রিয়া আক্তার পাখি (১৯)।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, নগরীর উপশহর এলাকার রহিমের মেয়ে সাবিনা ওরফে রজনী মাঝে মধ্যে ট্রেনে ঢাকায় যাতায়াত করতো। সেই সুবাধে সরকারী চাকুরীজীবী ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় সাবিনা ওরফে রজনীর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে রজনি তাকে নিজের বাড়িতে দাওয়াত দেয়। তার কথায় শনিবার সন্ধ্যার পর করিম ওই বাড়িতে যায়। এ সময় রজনি তাকে চা খেতে দেয়। এক পর্যায়ে তিনি ছাড়াও আরেক নারী ও দুই পুরুষ তার কাছে গিয়ে জোরপূর্বক নগ্ন করে ছবি তোলা শুরু করে। পরে এর ভিডিও চিত্রও ধারণ করে। সেই ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
ওই ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানান, তার কাছে ১০ লাখ টাকা নেই জানালে তার কাছে থাকা সোনার আংটি কেড়ে নেয় ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। এরপর বাইরে এসে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেয় তারা।
পরে ছাড়া পেয়ে ওই ব্যক্তি বোয়ালিয়া মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দল রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে রজনি ও তার প্রেমিক আব্দুল গাফফার ও পাখিকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছে থাকা দুইবারে বিকাশের মাধ্যমে বাদীর কাছ থেকে নেয়া নগদ ৮ হাজার টাকা, ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের সোনার আংটি, স্বাক্ষরিত নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ও বাদীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আরো জানানো হয়।
আরবিসি/০৭ ফেব্রুয়ারি/ রোজি