• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ

চারঘাটে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, অভিযুক্ত গ্রেফতার

Reporter Name / ২৫৫ Time View
Update : শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় কিশোরকে (১৩) গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম জহিরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি উপজেলার মেরামতপুর গ্রামের জয়েন শাহের ছেলে।

জহিরুলের পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে ওই কিশোরকে গত শুক্রবার দুপুরে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে জহিরুল নিজেই সেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেন। এর পর শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার কিশোর উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা চারঘাট পৌরসভার মেরামাতপুর মহল্লার বাসিন্দা। শুক্রবার নির্যাতনের পর স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোর জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। তখন কয়েকজন পুকুরে মাছ ধরছিল। কিছু সময় পর জহিরুল পুকুর পাড়ে এলে যারা মাছ ধরছিলো তারা পালিয়ে যায়। এ সময় জহিরুল ওই কিশোরের কান ধরে পুকুর পাড়ে নিয়ে আসেন।

এরপর একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে জহিরুল ইসলাম ওই কিশোরকে গাছে বেঁধে রাখার দৃশ্য ফেসবুকে শেয়ার করেন। এ ঘটনায় রাতে ওই কিশোরের বাবা থানায় মামলা করেন।
ওই কিশোরের বাবা বলেন, চুরির অপবাদ দিয়ে তার ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। অন্য কেউ তার পুকুরে মাছ চুরি করতে পারে, আমার ছেলে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। তবুও তাকে মারধর করা হয়েছে।

সে এখন হাসপাতালে আছে। তিনি দাবি করেন, তার ছেলে তাকে জানিয়েছেন যে- জহিরুল তার পায়ুপথে মাছ ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। পুলিশ অবশ্য বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।

রাজশাহীর চারঘাট থানার ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পায়ুপথে মাছ ঢুকিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানি না। তবে তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। ওসি বলেন, থানায় দায়ের করা মামলায় ওই কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া নির্যাতনের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় একই মামলায় জহিরুলের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

আরবিসি/০৩ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category