স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর কাটাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ডিএনএ সংগ্রহ ও পরিবারের সদস্যরা শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরে দুইটি ট্রাক ও একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে রংপুরের পীরগঞ্জের উদ্যেশ্যে রওনা হয় স্বজনরা।
নিহতদের মধ্যে ছয়জনের মুখ অক্ষত থাকায় তাদের চেহারা দেখেই লাশ শনাক্ত করা হয়। অন্য ১১ জনের লাশ পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও আকৃতি দেখে স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে।
এদিকে, বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা ও কয়েকজনকে জখমের মামলায় হানিফ পরিবহনের চালক আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২ টার দিকে বেলপুকুর থানার মহেন্দ্রা বাইপাস থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
অপরদিকে, সড়কে ১৭ জনের প্রাণ হানির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফনের জন্য প্রত্যকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে পাঁচটি পরিবারের ১৮ জন রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে পিকনিকে আসছিলেন। কাটাখালিতে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসে আগুন ধরে ১৭ জন মারা যান। একজন রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জের ডারিকাপাড়া গ্রামে পাভেলের বাবা মোখলেসুর রহমান (৪৫), মা পারভীন বেগম (৪০), রাঙ্গামাটি গ্রামের মো. সালাহউদ্দিন (৩৬), তার স্ত্রী শামসুন্নাহার (২৫), তাদের ছেলে সাজিদ (৬), মেয়ে সাফা (২), শামসুন্নাহারের বড় বোন কামরুন্নাহার (৩৭), উপজেলা সদরের মো. ভুট্টু (৪০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৪০), ছেলে ইয়ামিন (১৫), বড় মজিদপুরের ফুলমিয়া (৪০), তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), ছেলে ফয়সাল (১৫) এবং মেয়ে সুমাইয়া (৮), সাবিহা (৩), দুরামিঠিপুরের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম (৪৬) এবং মাইক্রোবাসের চালক মো. হানিফ (৩০)। হানিফের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার পঁচাকান্দ গ্রামে।
আরবিসি/২৭ মার্চ/ রোজি