নিজস্ব প্রতিনিধি : পুলিশ সদস্য হয়েও নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী পরিচয় দিয়ে রাজশাহী নগরীর এক যুবককে অস্ত্রের মুখে অপহরণের পর অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বহিস্কৃত ঐ পুলিশ সদস্য এসআই মাহাবুব হাসান। গত ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর রাজশাহীর গৌরহাঙ্গা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ভুক্তভুগী রাজিব আলীকে নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় অভিযুক্ত মাহাবুব হাসান আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন।
রাজিবকে তুলে নিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপনের জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মাহাবুব।পরে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে নির্যাতন করে মাদক মামলা দেওয়া হয়। এমন অভিযোগের পরে এসআই মাহাবুবের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় তাকে বহিস্কার করা হয়।
শুক্রবার বেলা ১২ টায় রাজশাহীর নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ভুক্তভুগী রাজিবসহ (২৭) তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সদস্য এসআই মাহাবুবের বিরুদ্ধে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
২০১৯ সালের ঘটনার পরে এসআই মাহাবুবের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট মামলা করেন নির্যাতিত যুবকের বাবা মাসুদ রানা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, এসআই মাহাবুব নিজেকে পুলিশ সদেস্যের পাশিপাশি নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পরিচয় দিয়ে অপহরণের পর অর্থ আদায় কর। এ ঘনটায় রাজিবকে একটি সাজানো মিথ্যে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ভিডিও ও ভাইরাল করেন ওই পুলিশ সদস্য।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই মাহাবুব জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।রাজশাহী মহানগর পুলিশ বলছে,তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।