আরবিসি ডেস্ক: থাইল্যান্ডে এক ইউরোপীয় নাগরিকদের দেহে মাঙ্কিপক্স (এমপক্স) ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি আফ্রিকা থেকে গত সপ্তাহে থাইল্যান্ড ভ্রমণে যান। তার শরীরে মাঙ্কিপক্সের কোন ধরন রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। থাই স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে এমপক্সের ক্লেড-১ ধরনের মতো বিবেচনা করছে। সম্প্রতি এমপক্সের এই ধরনটি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ এটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে একটি হাসপাতালে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। ধরন শনাক্ত করতে এরই মধ্যে তার বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে।
২০২২ সালের পর থেকে থাইল্যান্ডে ৮০০ এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। যার ধরন ছিল ক্লেড-২। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ক্লেড-১ ও ক্লেড-১বি শনাক্ত হয়নি।
করোনার পর বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্কের নাম এমপক্স। এরই মধ্যে পাকিস্তানসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রামক এই রোগটি। এটির সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের বন্দরগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এমপক্স প্রতিরোধে দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমান্তবর্তী দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা আন্তর্জাতিক যাত্রীদের দিকে। জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে হটলাইন চালু করেছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউেএইচও) এমপক্স নিয়ে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। ডব্লিউএইচও এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১৬ টি দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে ২০৮ জন মারা গেছে। শুরুর দিকে আফ্রিকার দেশগুলোতে এর প্রকোপ বেশি থাকলেও, সম্প্রতি ইউরোপ ও এশিয়াতেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
সূত্র: আল-জাজিরা