জাহিদ হাসান সাব্বির : রাজশাহীর শিরোইল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংগগ্ন বাসতারা পাড়া নিবাসী আম ব্যবসায়ি তারা মিয়ার উপর রাজশাহী রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ এসময় তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যাওয়া ২সন্তানও আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷
শনিবার (১৭ আগস্ট) গভীর রাত ১২টায় রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় জনসম্মুখে তারা মিয়াকে টেনে হিচড়ে গলায় গামছা জড়িয়ে গুরুতর আহত করে দূর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত তারা মিয়াকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান তারা মিয়ার ছেলে রুমন ও স্থানীয়রা৷
দূরবৃত্তরা ঘটনার পর তারা মিয়ার বসতবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ করেন তার আরেক সন্তান রুবেল। তিনি বলেন, ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে আমার বাবা (তারা মিয়া) সাপাহার থেকে ফিরছিলেন, এমন অবস্থায় আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দী ফায়সাল, কানা মাসুদ, রনিসহ আরো কয়েকজন শত্রুতার জের ধরে আমার বাবাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে৷
তিনি আরো বলেন, এসময় আমি (রুবেল) আর আমার ভাই রুমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে আমাদের দুই ভাইকেও গুরুতর জখম করে।
অন্যদিকে ওই এলাকার স্থানীশ বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবাসীর স্ত্রী জানান , এই দূর্বৃত্তদের কু প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আমার বসতবাড়িতে অত্যাচার চালায়। মাদক সেবক করে এসে বাসার সামনে আড্ডা দেয়৷
আইগত ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে জানতে চাইলে আহত তারা মিয়ার আরেক ছেলে রুমন বলেন, আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম তারা কেউই সঠিক সমাধান দিতে পারে নি৷ তবে, পরে এক গাড়ি সেনাবাহিনী এসে আমাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। আমরা তাদের কথা মতো সকালে থানায় গিয়ে একটি লিখিত দিয়ে আসবো৷
এঘটনায় ওই পরিবারের এক নারীসহ মোট ৪জন আহত হয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী৷ এর মধ্যে দুইজনের জখমের পরিমান বেশি হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনার পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন ছাত্র ঘটনাস্থলে আসে। এসময় সংগঠনটির সদস্য মাইনুল জানায়, আমরা ঘটনা দেখলাম এর সাথে জড়িতরা আওয়ামী ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জরিত বলে জানতে পেরেছি৷ এদের কয়েকজনকে ভদ্রা মোড় দিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালাতে দেখেছি৷
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের কয়েকজনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরে নি৷ এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন চলমান বলে জানানো হয়৷