নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামের কৃষক আবুল বাসার। গোল ও লম্বা লাউ চাষ করে বীজ বপনের ৬০ দিনের মধ্যে তিনি ভালো ফলন পেয়ে খুশি।
আবুল বাসার লাউ চাষে জৈবের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছেন। তার সফলতা দেখে অন্য সবজি চাষিরা লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এর আগেও তিনি লাউ চাষে করেছেন।
জানা যায়, আবুল বাসার বিষ প্রয়োগ ছাড়াই ২০ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করেছেন। তার লাউ ক্ষেতে মাচার নিচে ঝুলছে ছোট-বড় শত শত সবুজ লাউ।
দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এ লাউ চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। বিষমুক্ত লাউ চাষের কারণে বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
লাউ চাষী আবুল বাসার জানান, লাউ চাষে কোনো ধরনের বিষ প্রয়োগ করেননি। অল্প শ্রম, পুঁজি ও সীমিত জমিতে লাউ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। বাজারে লাউয়ের চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন তিনি।
সপ্তাহে ২ দিন এই ক্ষেত থেকে লাউ কেটে বিক্রি করেন। শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় অনেক টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। পাশাপাশি কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমল চন্দ্র সরকার বলেন, কৃষক আবুল বাসার এবার লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে তার। কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে লাউ চাষে তিনি লাভবান হচ্ছেন।
কম খরচে লাভজনক আবাদ হিসেবে লাউ চাষ প্রতি বছরই বাড়ছে। তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের উন্নত জাতের লাউ বীজ সরবরাহের পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। মানবদেহের জন্য নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আমরা কৃষককে উদ্বুদ্ধ করছি।