আরবিসি ডেস্ক : চলমান বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে দিয়েছিল দুর্দান্ত ঢাকা। শুরুটা বেশ সাড়াজাগানো করলেও সেই ধারা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় তাসকিন আহমেদের দল।
এরপর টানা ৮ ম্যাচে কেবল ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়দে হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যদের। গতকালও বরিশালের কাছে হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানে।
ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক তাসকিন বলেন, ‘টুর্নামেন্টের ৭০ ভাগ শেষ। ওভারঅল দুইটা ম্যাচ ছাড়া বেশিরভাগ ভালো ক্রিকেট খেলা হয়নি। ব্যাটিংয়ে বেশিরভাগ ম্যাচে আমরা ফেল করেছি।
আমার মনে হয় আরো ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল। তাছাড়া হারতে থাকলে মোরালি ডাউন থাকে। তখন কিছু না কিছু মিসটেক হয়েই যায়। এখন দোষ বের করলে তো অনেক সমস্যা বের হবেই। তিনটা ম্যাচ আছে, ভালো ক্রিকেট খেলে যতটা শেষ করা যায়। ফ্রাঞ্চাইজিরা তো প্রত্যাশা করে আমরা জিতি।’
দলের ব্যর্থতার কথা অকপটেই স্বীকার করেছেন ঢাকার অধিনায়ক, ‘এটা তো দলীয় খেলা। দুজন-চারজন কোনো না কোনো জায়গায় খারাপ খেলেই ফেলছে। নাম নিব না। কারণ এটা দলীয় খেলা। আজ এ খারাপ করেছে, কাল ও। একদিন আমি। এভাবে আমরা খারাপ করেছি। জেতা জেতা ম্যাচগুলো দুর্বলতার কারণে হেরে গেছি।
হারের কষ্ট ঠিক কতখানি বড় তা স্পষ্ট হলো পরের কথাতেই, ‘হারের কারণে পরিবার জিজ্ঞেস করে জিততে পারছি না কেন। এটা অবশ্যই ভালো অনুভূতি নয় অবশ্যই।
আমাদের পরিবারও আছে। তারাও জিজ্ঞেস করে, “জিততে পারছ না কেন?” জিততে তো আমরাও চাই, ব্যাটিং বা বোলিং কোন না কোন জায়গায় হেরেই যাচ্ছি।’
টানা ৮ পরাজয় ফ্র্যাঞ্চাইজি কিছু বলেছে কি না এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেন, ‘ব্যবহার কেউ খারাপ করেনি। নিজেরই একটু লজ্জা লাগে। সবাই তো আসলে প্রত্যাশা করে সবাইকে নেয়। বিনিয়োগ করে অনেক আশা নিয়ে।
যখন দল রেজাল্ট করে না নিজেরই খারাপ লাগে। আমি আমার দিক থেকে শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করছি এটাই আমার হাতে আছে। মালিকপক্ষ খোঁজখবর নিচ্ছে। আজও লাঞ্চ হলো একসঙ্গে।’
আরবিসি / ১১ ফেব্রুয়ারী / অর্চনা