স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী লিটন মিয়ার উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সহচর মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করেছে বাগমারা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মশিউর ভবানীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর একডালা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় ভবানীগঞ্জ নিউ মার্কেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয় এবং বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মশিউর উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সহচর হিসেবে কাজ করেন। তবে মশিউর এলাকায় মেয়র কালামের ক্যাডার হিসেবেই পরিচিত।
স্থানীয়রা জানায়, এর আগেও মশিউরকে ফেন্সিডিলসহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এছাড়াও স্থানীয় এক চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় তাকে অন্য আরেকটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে মশিউর অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে সাথে নিয়ে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী লিটন মিয়ার কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানেই তার উপর আতর্কিত হামলা করে তারা। সে সময় তাদের হামলায় প্রকৌশলী লিটন মিয়া আহত হন। ওইদিনই প্রকৌশলী লিটন মিয়া বাদী হয়ে মশিউরকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলারই প্রধান আসামী মশিউরকে গ্রেপ্তার করে বাগমারা থানা পুলিশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল গত ৩০ নভেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির সঙ্গে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে যান উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে। এ সময় মশিউর তার বাহিনী নিয়ে ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় প্রবেশ করে। মেয়রকে না পেয়ে বিভিন্ন দাবী করে সহকারী প্রকৌশলী লিটন মিয়ার উপর হামলা করে তারা। নৌকা প্রার্থী আবুল কালামের পক্ষ নিয়ে এরই মধ্যে মশিউর বিভিন্ন স্থানে হামালাসহ সতন্ত্র প্রার্থী এমপি এনামুল হকের একাধিক সমর্থককে হুমকি দিয়েছে বলেও জানা গেছে ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগমারা থানার এসআই জাহিদ শেখ বলেন, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সরহারী প্রকৌশলীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালদের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আরবিসি /০৭ ডিসেম্বর/