স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা। পেঁয়াজের দাম কমার কারণে লোকসানের আশঙ্কায় ছিলেন চাষিরা, দাম বাড়ায় লাভের আশায় বুক বাঁধছেন তারা।
সপ্তাহখানেক পূর্বে দেশী মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫-১৮ টাকা, মিশরীয় পেঁয়াজ ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর সাহেববাজার মাষ্টারপাড়া, উপশহর নিউমার্কেট, লক্ষীপুর নিউমার্কেট ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশী পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকার কারণে দাম বাড়ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের স্বাদে কম, তাই অল্প দাম হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ নেই মোটেও।
করোনায় লকডাউন অঘোষিতভাবে ছুটে গেছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্ট অনেকের। বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে কয়েকগুণ। শিক্ষানগরীতে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রির সাথে সাথে বেড়েছে দামও।
মাষ্টারপাড়া এলাকার সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন থেকে একটু বেশি ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে। সবজির কেজিতে ৪-৫ টাকা করে বেড়েছে। আলু, পেঁয়াজ, টমেটো, ফুলকপি সবগুলো কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে আলু ১৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩০, টমেটো ৩০, ফুলকপি প্রতিপিস কয়েকদিন আগে ১০ টাকা বিক্রি হয়েছে; এখন ১৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, শিম ২০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে এমনটা জানিয়েছে সবজি ব্যবসায়ী জিয়া। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম না বাড়লে কৃষকেরা লোকসানে পড়বে। যখন আমাদের দেশে পেঁয়াজ ছিল না তখন ভারতীয় পেঁয়াজ খেতে হয়েছে চড়া দামে। এখন আমাদের দেশের পেঁয়াজ বাজারে অহরহ। ভারতীয় পেঁয়াজ আর প্রয়োজন নেই। একটু বেশি দাম পেলে চাষিরা বাঁচবেন, পাশাপাশি আমরাও কেজিতে দুই-এক টাকা লাভ করে খেতে পারব। বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল হক বলেন, কৃষকের মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষের দিকে। তাই একটু দাম বেড়েছে। বাজারে আর ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ ও বীজের পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। এই বীজ থেকে উৎপাদিত পেঁয়াজ সারাবছর খাওয়া হয়। কৃষকরা সারাবছরই পেঁয়াজের ভালো দাম পাবেন বলেও মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
আরবিসি/ ফেব্রুয়ারি/ রোজি