• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

তামাশার নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি : ফখরুল

Reporter Name / ১৭১ Time View
Update : রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩

আরবিসি ডেস্ক : নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা ও নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর দাবিতে আবারও ১১ মার্চ শনিবার সারাদেশের সকল জেলা ও মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরার আউয়াল এভিনিউ সড়কে উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার আর কাটাছেঁড়া সংবিধানে তামাশার নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি। এদিকে বিএনপির সমমনা ক’টি দলও পৃথক পৃথক অবস্থানে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন শেষে ১১ মার্চ যুগপৎ পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। তাই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। এ আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ১৫ বছর ধরে আন্দোলনে আছি, আন্দোলনে থাকব। আন্দোলনের পথে বাধা দিলে আমরা তা অতিক্রম করে এগিয়ে যাব।

ফখরুল বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, বর্তমান সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান কাটাছেঁড়া করে পাতানো নির্বাচনের জন্য সাজিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ? যে নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায় না।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমাদের এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, আমাদের এই আন্দোলন জনগণের অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন, আমাদের এই আন্দোলন দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন। বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলনে থাকব।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আজকে সরকার এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছে যে, তাদের জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা নেই, দায়-দায়িত্ব নেই। তিনি বলেন, ভারতের আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। তাদের কাছ থেকে কয়লা কিনবে, বিদ্যুৎ কিনবে। কিন্তু তারা বিদ্যুৎ না দিলেও খরচ দিতে হবে সরকারকে। এতে সরকারকে এক লাখ ডলালের বেশি খেসারত দিতে হবে।
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ অসংখ্য নেতা এখনো কারাগারে আছেন। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে গুম করে ভারতে ফেলে রেখে আসা হয়েছিল। তিনি সেখানে মামলায় কারাবরণ করেন। সেখানকার আদালত তাকে এখন মুক্ত করে দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সরকার। আমরা আজকে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। আর খালেদা জিয়া ও রিজভীসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবি করছি আমরা।
উত্তরা-পূর্ব থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলমের সভাপতিত্বে পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।
এ ছাড়াও বিএনপির সমমনা গণতন্ত্র মঞ্চ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে, ১২ দলীয় জোট বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্ক থেকে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিজয় নগর আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এবং সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট পুরানা পল্টন মোড় থেকে আলাদা আলাদাভাবে পদযাত্রা করে। আর বিকেলে এলডিপি রাজধানীর পান্থপথ, বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী থেকে আলাদা পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে। বিএনপির এই সমমনা দলগুলোও ১১ মার্চ সারাদেশের জেলা ও থানা পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়।
চট্টগ্রাম থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। চকবাজার থানার পদযাত্রা কর্মসূচি উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনআহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আগে মানুষ একটি মুরগি কিনতে পারত। এখন ফার্মের মুরগি পিস হিসেবে কিনতে হচ্ছে, এটি একসময় রেকর্ডের খাতায় উঠবে।

হয়তো সামনে এক মুঠো চালও বিক্রি হবে। তিনি বলেন, এ সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে, ভাতের অধিকার, শিক্ষার ও গণতন্ত্রের অধিকার হরণ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের অধিকার পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বিএনপি রাজপথে আছে। চকবাজার থানার পর তিনি বাকলিয়া থানার পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় তিনি বলেন, রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে।

আরবিসি/০৫ মার্চ/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category