স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের নতুন আলু। মৌসুমের শুরুতে চাহিদা থাকায় বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। জাত ভেদে ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে নতুন আলু। এদিকে গত মৌসুমের আলু এখনও হিমাগারে রয়ে গেছে। ফলে এসব আলুর ন্যায্য দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা।
রবিবার সকালে রাজশাহী নিউ মার্কেট, উপশহর নিউমার্কেট, লক্ষ্মীপুর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা মিলেছে এসব নতুন জাতের আলুর। তবে, নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারে মাত্র কয়েকটি দোকানে দেখা মিলেছে নতুন আলু। বিক্রেতারা বলছেন, নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে বেশি দাম দিয়েই আলু কিনছেন ক্রেতারা। তবে সে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম।
নগরীর সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য সবজির সঙ্গে নতুন আলু রাখা হয়েছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা খুব কম। হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। নতুন সাদা জাতের আলু বিক্রি করছি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। আর লাল আলু (লাল বার্মা) ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজার করতে আসা নগরীর উপশহর এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, শখের বসে আড়াইশো গ্রাম আলু কিনেছি ৪০ টাকায়। আলুর দাম প্রথম প্রথম একটু বেশি থাকে। দু-এক সপ্তাহ গেলেই দাম কমে যাবে। বাজারে নতুন সবজি দেখলেই খেতে মন চায়। তাই না নিয়ে থাকতে পারলাম না।
বাজারে ঘুরে দেখা যায়, নতুন আলু কেজি হিসেবে কিনছেন না কেউ। সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম কিনছেন। দাম বেশি হওয়ায় ১০০ গ্রাম আলুও বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতার চাহিদার কারণে কৃষকরা আলু বাজারে নিয়ে আসার আগেই বিক্রি হচ্ছে। জমি থেকে পাইকারি দামে আলু কিনছেন ব্যবসায়ীরা। তারাই বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করছেন।
শিবলী নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি আসছে। নতুন টমেটো এসেছে। ১৬০ টাকা কেজি। নতুন আলু সেভাবে ওঠা শুরু হয়নি। আগেভাগে তোলা নতুন আলু বাজারে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু তরকারিতে খাওয়ার জন্য কিনছেন। এই আলু সবাই কিনতে পারছে না।
আরবিসি/২১ নভেম্বর/ রোজি