• রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন

ঝুঁকিতে বৈশ্বিক চালের বাজার

Reporter Name / ৩৪০ Time View
Update : শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : বৈরী আবহাওয়া ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চলতি বছর বিশ্বের বৃহত্তম চাল উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ ভারতসহ এশিয়াজুড়ে চালের উৎপাদন হয়েছে কম। ফলে সামনের দিনগুলোতে বৈশ্বিক চালের বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়া ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্বের একটি বিপুল অংশের জনগোষ্ঠীর প্রধান খাদ্য চাল; এবং বিশ্বের ৯০ ভাগ চাল উৎপাদন হয় ভারত, চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন শস্যের দাম বাড়লেও এতদিন চালের বাজার স্থিতিশীল ছিল।

তার প্রধান কারণ গত দুই বছরের বাম্পার ফলন ও চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোর কাছে চালের বিশাল মজুত থাকা। কিন্তু উৎপাদন কমে গেলে চলতি বছর গম ও অন্যান্য শস্যের মতো চালের সরবরাহেও সংকট দেখা দেবে।

মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত বিভন্ন বছরের তুলনায় চলতি বছর বিশ্বের বন্যা, ঝড়, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেছে বেশি। ভারতের যেসব অঞ্চলে ধানের চাষ হয়, সেসব জায়গায় এ বছর কম বৃষ্টিপাত হয়েছে, চীনের বিভিন্ন প্রদেশে একই সঙ্গে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ এবং অতি বর্ষণ।

এছাড়া বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামেও ধান চাষ ব্যাহত হয়েছে। এসব কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী এই ৫ দেশে চলতি বছরে চালের উৎপাদন বিগত বছরসমূহের তুলনায় কম হয়েছে।

ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের কৃষি অর্থনীতিবিদ ফিন জিবেল রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলোতে উৎপাদন কমার সঙ্গে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার বিষয়টি সরাসরি যুক্ত। উন্নয়নশীল বিশ্বে অনেক দেশেই খাবারের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা কঠিন হয়ে উঠেছে। চালের দাম বাড়লে সেটা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলবে।’

জাতিসংঘের খাদ্য অ্যান্ড কৃষি নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) অর্থনীতিবিদ শার্লি মুস্তাফাও চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘চলতি বছরের শুরুতে সামগ্রিকভাবে খাদ্যপণ্যের দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে গেলেও চাল এখনও সহজলভ্য রয়েছে। তবে এই স্বস্তিকর অবস্থা কতদিন থাকবে, তা নিয়ে অনিশ্চতয়তা রয়েছে।

‘আমরা এখন ভারত, চীন ও বাংলাদেশসহ কয়েকটি প্রধান ধান উৎপাদনকারী দেশে আবহাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে উৎপাদন কমে যেতে পারে।’

আরবিসি/০৬ আগস্ট/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category