আরবিসি ডেস্ক : বাঙালীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগামীকাল শনিবার খুলে দেয়া হবে বহুল কাক্সিক্ষত এই পদ্মা সেতু। সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে গেছে পদ্মাপাড়ে। উদ্বোধন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে উভয়পাড়ে চলছে সাজ সাজ রব। চলছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। পদ্মা সেতুর উভয়পাড়ে তৈরি করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। এই নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে কাজ করছে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। আকাশে টহল দিচ্ছে হেলিকপ্টার। দুই পাড়ে সতর্ক কমান্ডো।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু শনিবার সকালে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকাল ১০টায় তিনি মাওয়া প্রান্তে প্রথম সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করবেন এবং পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণা দেবেন। পরে তিনি সেতুর ফলক ও ম্যুরাল উদ্বোধন করে টোল দিয়ে সফরসঙ্গীদের নিয়ে পদ্মা সেতু পার হবেন। ওপারে গিয়েও তিনি প্রথমে সেতুর ফলক ও পরে ম্যুরাল উদ্বোধন করবেন। বিকেলে তিনি কাঁঠালবাড়িতে এক ঐতিহাসিক জনসভায় বক্তৃতা করবেন। উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন ভোরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বহুল প্রত্যাশিত এই মেগা কাঠামো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে দেশের বৃহত্তম নদী পদ্মার চরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগারোটি পিলারের ওপর দশটি স্প্যান বসিয়ে পদ্মা সেতুর আদলেই তৈরি করা হয়েছে এই জনসভার মঞ্চ। মঞ্চের ঠিক সামনে পানিতে ভাসতে থাকবে বিশাল আকৃতির একটি নৌকা। দেখে মনে হবে পদ্মা সেতুর পাশ দিয়ে বড় একটি নৌকা চলছে। এভাবেই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঐতিহাসিক রূপ দিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। উদ্বোধনকে ঘিরে সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দের উচ্ছ্বাস।
জনসভা এলাকায় দেখা যায়, সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশাল এ আয়োজন ঘিরে পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরেই এখন সব ব্যস্ততা। প্রায় প্রতিদিনই সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা সেতু এলাকা পরিদর্শন করছেন। অনুষ্ঠান সফল করতে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভা ঘিরে তিন বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে আলোকসজ্জার কাজ করছেন শ্রমিকরা। মঞ্চের চারপাশে নেয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয়েছে এই মঞ্চ। তারা অস্ত্র হাতে সর্বক্ষণিক স্পটে থাকছেন। এ ছাড়াও যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মকর্তারাও তৎপর রয়েছেন।
এরই মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)। সেতুর নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ করে তা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ সময় সেতু কর্তৃপক্ষের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শতভাগ কাজ শেষ করার একটি সার্টিফিকেট দিয়েছে।
সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, শতভাগ কাজ শেষ করে ঠিকাদারী কোম্পানি সেতুটি বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে যে কোন অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ছোটখাটো কাজ থাকে। তাই আগামী এক বছর তারা ‘ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড’ এর কাজ করবে।
এর আগে, গত ১৭ জুন সন্ধ্যায় পরীক্ষামূলকভাবে টোল দিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কয়েকটি গাড়ি পার হয়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজায় টোল দিয়ে সেতু প্রকল্পের গাড়িগুলো পদ্মা সেতু পার হয়। তবে দেশের পরিবহনগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার না থাকায় সনাতন পদ্ধতিতে টোল দিয়েই সেতু পার হতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া গত ১৪ জুন সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সব ল্যাম্পপোস্টের বাতি একসঙ্গে প্রজ্বালন করা হয়। এতে পুরো পদ্মা সেতু আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে। রাতের আঁধার নেমে আসতেই সড়কবাতির ঝলকে আলোকিত হয়ে ওঠে প্রমত্তা পদ্মার বুক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে একসময়ের পদ্মাপাড়ে অবহেলিত অঞ্চল শিবচরে বইছে উৎসবের আমেজ। শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুন শনিবার পদ্মা সেতুর দুই প্রান্ত মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে এসে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার ফেরিঘাট এলাকায় জনসভায় যোগ দেবেন। জনসভাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রায় ১৫ একর জমির ওপর ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মঞ্চের ভেতরে ও বাইরে বসানো হয়েছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। থাকবে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। র্যাব, পুলিশ, সেনা সদস্য, এসএসএফসহ নানা বাহিনীর তৎপরতায় এটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে রূপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জনসভার মঞ্চ তৈরির কাজ করছে ক্যানভাস বাংলাদেশ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নকর্মী কবির হোসেন জানান, ব্যতিক্রমী এই মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কয়েকদিন ধরে তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকটা সেতুর আদলেই তৈরি করা হবে উদ্বোধনী মঞ্চ। এ ছাড়াও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা শেড থাকবে। মঞ্চের সামনে পানি থাকবে। তার ওপর ছোট-বড় বেশ কয়েকটি নৌকা ভাসতে থাকবে। এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। পুরো কাজের প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। শনিবারের আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে। সভাস্থলে ৫০০ অস্থায়ী শৌচাগার, ভিআইপিদের জন্য আরও ২২টি শৌচাগার, সুপেয় পানির লাইন, তিনটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল, নারীদের আলাদা বসার ব্যবস্থা, প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার আয়তনের সভাস্থলে দূরের দর্শনার্থীদের জন্য ২৬টি এলইডি মনিটর, ৫০০ মাইকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নদীপথে আসা মানুষের জন্য ২০টি পন্টুন তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করছে।
জনসভাস্থলের দুই বর্গকিলোমিটার জায়গা তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পেয়েছে পিয়ারু সরদার এ্যান্ড সন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মোজ্জামেল হক বলেন, ‘সভাস্থলে ওয়াচ টাওয়ার, এলইডি মনিটরসহ নিরাপত্তাবিষয়ক সব ধরনের কাজ তারা শেষ করেছেন। স্মরণকালের সেরা আয়োজন হবে এখানে। জনসভায় আসা অতিথিদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে। তাদের সব ধরনের সুবিধা দিতে জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ছাড়া ২০ শয্যার একটি এবং ১০ শয্যার আরও দুটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও থাকবে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। জরুরী স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য পুনর্বাসন এলাকায় থাকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো ব্যবহার করা হবে।
সাড়ে তিন হাজার আমন্ত্রণপত্র : পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের জন্য সাড়ে তিন হাজার আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সুধীবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আগে বলা হলেও আইনগত কারণে শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে বিএনপির সাত নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া জমকালো এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।
আমন্ত্রণ পাওয়া বিএনপির সাত নেতা হলেন- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে যাবেন না।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রটি বুধবার ড. ইউনূসের পক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ সুপ্রীমকোর্টের আপীল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিকে।
সবমিলিয়ে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশী কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকসহ সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিদেশী অতিথিদের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন বিদেশী অতিথি হিসেবে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া দেশীয় কর্মী যারা এ সেতু তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারাও আমন্ত্রিত হিসেবে থাকবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত কূটনীতিকরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে যাওয়ার রুট : পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার মাওয়ায় যেতে নির্দিষ্ট রুট ব্যবহারের নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অনুষ্ঠানস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছানোর জন্য অতিথিদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে রওনা হওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউমার্কেট এলাকা থেকে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের যাতায়াত রুট: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন চাঁনখারপুল (নিমতলী) মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বাম লেন- ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।
জিরো পয়েন্ট (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ গুলিস্তান) থেকে আসা আমন্ত্রিত অতিথিদের গমনাগমন রুট: জিরো পয়েন্ট-গুলিস্তান আহাদ বক্স সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বাম লেন-ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা- ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।
মতিঝিল শাপলা চত্বর ও ইত্তেফাক মোড় থেকে আসা আমন্ত্রিত অতিথিদের গমনাগমন রুট: মতিঝিল শাপলা চত্বর-ইত্তেফাক ক্রসিং হাটখোলা মোড় সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বাম লেন-ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস। কমলাপুর, টিটিপাড়া থেকে আসা আমন্ত্রিত অতিথিদের যাতায়াত রুট : কমলাপুর, টিটিপাড়া ক্রসিং- গোলাপবাগ মোড়-ইনগেট সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বাম লেন- ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।
অনুষ্ঠানস্থলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে ঢাকা মহানগরী হতে যাত্রা শুরু করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
আরবিসি/২৪ জুন/ রোজি