• শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

Reporter Name / ৩৩৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : বন্যা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা দেওয়া হবে।

সিলেট বিভাগের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন নিয়ে মঙ্গলবার (২১ জুন) সিলেট সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

 

এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে করে নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সিলেট সার্কিট হাউজে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে এই বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার মানসিকতা থাকতে হবে। সে কারণে আমাদের অবকাঠামোগত যত উন্নয়ন হবে সেগুলো মাথায় রেখে করতে হবে।

তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে মাটি উঁচু করে আর কোনো রাস্তা করা হবে না, ‘এলিভেটেড’ রাস্তা হবে। এলিভেটেড রাস্তা হলে সেটি সহজে নষ্ট হয় না, বন্যার মতো দুর্যোগে যাতায়াতেরও সুবিধা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আগে থেকেই আমার কার্যালয়ে বন্যার বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য বলে রেখেছিলাম। প্রায় এক-দেড় মাস আগে থেকেই সবাইকে বলতাম, এবার খুব বড় একটা বন্যা আসবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রাকৃতিক একটা পরিস্থিতি দেখে আন্দাজ করা যায়। সেটা দেখেই আমি সবসময় বলেছি এবার বড় বন্যা আসবে। এসময় ৯৮ ও ৮৮ সালের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ বছর ১২ বছরের মধ্যে এমন বন্যা আসে।

তিনি বলেন, খাদ্যমন্ত্রীকে আগেই বলেছিলাম, এবার কিন্তু বন্যা আসবে। বন্যায় খাদ্যগুদামে পানি ঢুকতে পারে। সেজন্য পানি সেচের ব্যবস্থা রাখতে হবে, পাম্প রাখতে হবে। বিশেষ করে খাদ্যগুদাম এবং সারের গুদাম রক্ষা করতে হবে। আবার খাদ্যগুদাম থেকে খাদ্য যাতে বের করা যায় সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। এগুলো আমাদের সব সময় করে রাখতে হবে।

এবারের বন্যা অনেক দেরিতে এসেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা এলে পরপর আসে। এবার সিলেট বিভাগে পরপর তিনবার বন্যা হয়েছে। এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। প্রতিবার নতুন নুতুন জায়গা প্লাবিত হয়েছে। আমাদের যে ফসল বা যা কিছু ক্ষতি হয়েছে… আমরা গতকালও মিটিংয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এসময় বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যার সময় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এর আগে নৌকায় করে আমাকে বিভিন্ন জনসভায় যেতে হয়েছে। কানাইঘাট, শাল্লা নৌকায় গিয়েছি। সে সব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাহিরপুরে তো জনসভা মঞ্চেই পানি হয়ে গিয়েছিল। নৌকায় গিয়ে মিটিং করেছিলাম।

আরবিসি/২১ জুন/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category