স্টাফ রপর্িোটার : রাজশাহী কলেজের পলিটিক্যাল সায়েন্স ও কলাভবনের পশ্চিম পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল প্রায় চার থেকে পাঁচ বিঘা জায়গা। তার পাশেই ছিল একটি বড় নালা। সেখানে কখনও কোনোদিনই শিক্ষার্থীদের পদচিহ্ন পড়েনি। তবে সেই পরিত্যক্ত জায়গাটি ক্যাম্পাসের অনন্য দৃষ্টিনন্দন জায়গায় রূপদানের লক্ষ্যে রাজশাহী কলেজের বিদায়ী অধ্যক্ষ নির্মাণ করেন একটি টেরাকোটা। যেখানে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাঙালির ঐতিহাসিক দিনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘উদয়াস্তে বাংলাদেশ’।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফিতা টেনে ‘উদয়াস্তে বাংলাদেশ’ উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
গেলো বছরের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে টেরাকোটার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় সপ্তাহ খানেক আগেই। এই ‘উদয়াস্তে বাংলাদেশ’ নামক টেরাকোটায় ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, ১৯৫২‘র ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬‘র ছয় দফা, ১৯৬৯‘র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, মুজিবনগর সরকার গঠন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ট্রাজেডি তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র বলেন, অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান রাজশাহী কলেজকে নিজের উন্নত চিন্তাধারা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশসেরা কলেজে পরিণত করেছেন। তার নতুন নতুন আইডিয়া ও কর্মকাণ্ড সবাইকে মুগ্ধ করেছে। শিক্ষার্থীদের সঠিক ইতিহাস জানাতে টেরাকোটায় ‘উদয়াস্তে বাংলাদেশ’ স্থাপন সত্যিই প্রশংসনীয় একটি কাজ।
টেরাকোটা নির্মাণ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. হবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের কিভাবে উদয় হয়েছে, কাদের অবদান রয়েছে, কী কী ঘটনা স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে, আমাদের বীরপুরুষদের আত্মত্যাগ এবং সেই সাথে বাঙালি হিসেবে আমাদের কৃষ্টি-কালচার কী এ সমস্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্য টেরাকোটার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূলত শিক্ষার্থীরা টেরাকোটাটি দেখলেই যেন বুঝতে পারে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা। এটিই হচ্ছে টেরাকোটা তৈরির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
আরবসি/ি০৫ ফব্রেুয়ার/ি রোজি