• সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন

ঈদের পর বাজারে দাম বেড়েছে সবজির

Reporter Name / ১৪৫ Time View
Update : শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : ঈদের চতুর্থ দিনে বাজারে দাম বেড়েছে সবজি ও মুরগির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ৬০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা, মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ ভাল আছে। রোজায় ক্রেতারা সবজি কম খেয়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা কম। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

এ সব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।

বাজারে আগের দামের ডিম বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা। এসব বাজারে হাঁসের ডিম ও দেশি মুরগির ডিমের সরবরাহ নেই।

বাজারে ঈদের সময়ের দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা মো. মুস্তাকিম বলেন, বেশি দাম দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। এ কারণেই বেশি দামে বিক্রি করছি। এখন যে দামে গরু কিনছি ৭০০ টাকায় কেজি বিক্রি করেও লাভ করতে পারছি না। লাভ ছাড়াই বিক্রি করতে হচ্ছে গরুর মাংস।

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেই দাম ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগী বিক্রেতা মো. সাব্বির বলেন, মুরগির সরবরাহ অনেক কম। উৎপাদন কম থাকায় খামারিরা দাম বেশি চাইছে। একই সঙ্গে ক্রেতাদের চাহিদাও কম এরপরও মুরগির দাম বেশি। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়লে দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

আরবিসি/০৬ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category