• সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

জামালপুরে পরকীয়া ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

Reporter Name / ১০২ Time View
Update : রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : জামালপুরের মেলান্দহে গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন খাঁনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমিনুল ইসলাম আমিন খাঁন ১১ নম্বর শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উপ ও ত্রাণবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও ২ নম্বর চর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার রাতে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিব খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোহাগ হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এতে জানানো হয়, ১১ নম্বর শ্যামপুর ইউনিয়ন শাখার এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন খাঁনকে সাময়িক বহিস্কার করা হলো এবং কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার সুস্পষ্ট ও যথাযথ কারণ উল্লেখ করে আগামী সাতদিনের মধ্যে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে বুধবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাতে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর চর গ্রামে গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন খাঁন স্থানীয়দের হাতে আটক হন। ঘটনাটি দুদিন চাপা থাকলেও শনিবার সকাল থেকে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূকে তালাক দেন তার স্বামী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন আগে ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল একই এলাকার ওই গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দিনগত রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান ওই গৃহবধূ। পরে ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার প্রস্তুতি নেন। এসময় তারা স্থানীয়দের হাতে আটক হন। পরেরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের তিন থেকে চারশ লোকের উপস্থিতিতে স্বামী ওই গৃহবধূকে তালাক দেন।

এ বিষয়ে ওই নারীর ভাষ্য, সাতমাস আগে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দুইমাস পর আমিনুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর মাঝে মধ্যেই আমিনুল বাসায় আসতেন এবং অবৈধ মেলামেশা করতেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শাহজাহান বলেন, ঘটনার পরদিন ছেলে ও মেয়ে পক্ষের লোকজন আমার কাছে এসেছিল। পরে গ্রাম্য সালিশে গৃহবধূর তালাক হয়।

এ বিষয়ে কাজী ও মেলান্দহ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হযরত বলেন, সালিশের শেষ পর্যায়ে ১১ নম্বর শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজী তোফায়েল তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। পরে ঘটনার বিস্তারিত তিনি লোকমুখে শুনতে পান। গ্রামের তিন চারশ লোকের সামনে স্বামী ওই গৃহবধূকে তালাক দেন। তবে তালাকের পর গৃহবধূর সঙ্গে ওই ছেলের বিয়ে হয়নি।

সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়ে শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিব খান বলেন, আমিনুল ইসলাম খাঁনের এমন কার্যকলাপে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, তাই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরবিসি/২৪ এপ্রিল/মানিক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category