• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন

যে কারণে আত্মহত্যা করলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার সহকারী

Reporter Name / ১২৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : বেরিয়ে এল কলকাতার তারকা জুটি অঙ্কুশ হাজরা ও ঐন্দ্রিলার সহকারী পিন্টু দে ওরফে বাপ্পার আত্মহত্যার রহস্য। জানা গেছে, একটি ভিডিও দেখিয়ে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেল। এরপর এক পুলিশ কর্মকর্তার ছবি পাঠিয়ে তার নাম করেই দেওয়া হয় হুমকি। তা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বাপ্পা।

এই ঘটনার পর অঙ্কুশ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, কাছের মানুষকে হারিয়ে তারা শোকাহত।
পুলিশ বলছে, এই ঘটনার পেছনে রাজস্থানের ভরতপুরের একটি গ্যাংয়ের যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিষয়টি কিছুদিন আগে থানায় জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।

পূর্ব কলকাতার নারকেলডাঙা নর্থ রোডের একটি বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন বাপ্পা। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তার সাড়াশব্দ না পাওয়ায় পরিবারের লোকেরা বাথরুমের দরজা ভাঙেন। সিলিং থেকে উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত মরদেহ। পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

বাপ্পার এক আত্মীয় জানান, তার মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপে দুটি নম্বরে চ্যাট দেখেই মৃত্যুরহস্যের মোড় ঘোরে। চ্যাটগুলোতে তাকে ব্ল্যাকমেল করে বলা হয়েছে, ভিডিও আপলোড করে দেওয়া হবে। বাপ্পা বারবার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে ভিডিওটি মুছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনি অত্যন্ত গরিব।

বলা হচ্ছে, ভিডিও আপলোড করার ভয় দেখিয়ে অন্তত এক মাস ধরে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। কখনো দুই, কখনো তিন হাজার টাকা চাওয়া হয়। ক্রমে দুই দফায় তিনি ৫ হাজার টাকা ও এক দফায় দশ হাজার টাকা ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে জালিয়াতদের পাঠান। এমনকি অঙ্কুশের কাছ থেকে টাকা নিয়েও জালিয়াতদের দেন বলে দাবি পরিবারের।

এরপরও তার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার ক্ষমতা বাপ্পার ছিল না। তখন জালিয়াত হোয়াটস অ্যাপে এক পুলিশ কর্মকর্তার একটি ভুয়া পরিচয়পত্র পাঠায়। হুমকি দিয়ে জানায়, দুই মিনিটের মধ্যে টাকা না দিলে দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। পরিবারের দাবি, বাপ্পা এই চাপ নিতে পারেননি বলেই আত্মহত্যা করেন।

আরবিসি/০৪ মার্চ/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category