আরবিসি ডেস্ক : চট্টগ্রামের বায়েজিদ থেকে চুরি যাওয়া দেড় বছরের এক শিশুকে তিন দিন পর হবিগঞ্জ সীমান্ত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় শিশু চুরির অভিযোগে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার পাশাপাশি শুধু একটি নামের সূত্র ধরেই নগরীর বায়েজিদ থানা পুলিশ এই শিশু চুরির রহস্য উন্মোচন করে। সন্তান বুকে পেয়ে আনন্দে ভাসছেন মা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি শিশুকে কোলে নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছেন এক নারী। তবে তার চেহারা শনাক্ত করার মতো নয়।
তবে এ ফুটেজের সূত্র ধরেই শিশু আরজুকে উদ্ধারের অভিযানে নামে পুলিশ। ৯টির বেশি টিম একযোগে তিন দিন অভিযান চালিয়ে শেষ পর্যন্ত হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকা থেকে আটক করে সোহেল, তার স্ত্রী কুলসুম ওরফে সুমি এবং মা খোরশেদা বেগমকে। উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া শিশুকে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই শিশু আরজুকে উদ্ধারের অভিযানে নামে পুলিশ। ৯টির বেশি টিম একযোগে তিন দিন অভিযান চালিয়ে শেষ পর্যন্ত হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকা থেকে আটক করে সোহেল, তার স্ত্রী কুলসুম ওরফে সুমি এবং মা খোরশেদা বেগমকে। এ সময় চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
বায়েজিদ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, শিশু চুরির ঘটনায় আটক তিনজনকেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করায় তারা শিশু চুরি করে পাচার করত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে মা মুক্তা বেগম গার্মেন্টসে যাওয়ার সুযোগে দেড় বছরের আরজুকে চুরি করে নিয়ে যায় কুলসুম ওরফে সুমি। সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে পুলিশের কাছে এসে চুরি যাওয়া শিশুসন্তান উদ্ধারে মামলা করেন মা।
বায়েজিদ থানায় মায়ের করা মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলেও জানায় পুলিশ।
আরবিসি/১৬ এপ্রিল/মানিক