• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান শাখায় হাতাহাতি রাজশাহীতে লাঞ্ছিতের পর ১২ ঘন্টা মেসে অবরুদ্ধ ছাত্রীরা, গ্রেপ্তার ৩ গভীর রাতে রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের দফায় দফায় গু’লি বর্ষণ, জনমনে আতঙ্ক রাজশাহীর বাগমারায় তেলের ট্রাক বিস্ফোরণে পুড়লো ৪শ ব্যারেল তেল, ৮ দোকান রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫

সারাদেশে ডায়রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু

Reporter Name / ১১৭ Time View
Update : বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : চলতি বছরে এ সময় পর্যন্ত ডায়রিয়ায় সারাদেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব এবং মুখে খাওয়ার কলেরা ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন নিয়ে অধিদফতরের ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এ বছর আমরা চারটি মৃত্যুর রিপোর্ট করেছি।’

নাজমুল হোসেন জানান, দেশে চলমান ডায়রিয়া প্রকোপ মোকাবিলায় রাজধানীর ২৩ লাখ মানুষকে মুখে খাওয়ার কলেরা টিকা দেবে সরকার। গর্ভবতী নারী ছাড়া ১ বছর বয়স থেকে বড় সব বয়সের মানুষকে এ টিকা দেওয়া হবে।

তিনি জানান, দুই ডোজের এই টিকা কর্মসূচির প্রথম ডোজ দেওয়া হবে মে মাসে। সবমিলিয়ে ২৩ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে জুনে।

ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ।

টিকা গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, টিকা কার্যক্রমটি নিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি। এই টিকা গ্রহণ করতে হলে আলাদা কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট তারিখ ও কেন্দ্র বাছাই হলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। নিকটস্থ কেন্দ্রে গেলেই টিকা নেওয়া যাবে।

ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের সুস্থ ব্যবস্থাপনায় এবং ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডায়রিয়া রোগীদের সুস্থ ব্যবস্থাপনার জন্য হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে ৬০ জনের বেশি চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ, আইভি স্যালাইন, মুখে খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি চাহিদা অনুয়ায়ী পাঠানো হচ্ছে। সব বিভাগীর ভান্ডারে পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইন মজুত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সব উপদ্রুত এলাকায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

সারা দেশে মোট ৪ হাজার ৫২৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। হাসপাতালগুলোতে ৫০০ মিলি ব্যাগ আইভি স্যালাইন মজুত আছে ৩ লাখ ৩০ হাজারটি, ১০০০ মিলি ব্যাগ আছে ৪ লাখ। এছাড়াও ১০০০ মিলি ব্যাগের আরও ১ লাখ ৬০ হাজার আইভি স্যালাইন শিগগিরই ক্রয় করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ডায়রিয়া প্রকোপ রোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কেউ ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে খাবার স্যালাইন গ্রহণের পাশাপাশি নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। জেলা-উপজেলাসহ আমাদের প্রতিটি হাসপাতালই প্রস্তুত রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডায়রিয়া হলেই আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালটির নাম মাথায় চলে আসে। কারণ এই হাসপাতালটির আগে নাম ছিল কলেরা হাসপাতাল। এই কারণেই মানুষ হাসপাতালটিতে এসে ভিড় জমাচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রতিটি হাসপাতালই ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত।

এদিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় তিন লাখেরও বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে মৃত্যুর হিসাব না থাকলেও রাজধানীর মহাখালীতে কলেরা হাসপাতালে মারা গেছেন ২৯ জন।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বা কলেরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নয় হাজার ২৩৩ জন। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত একদিনে নতুন ৯৯৭ রোগী ভর্তি হয়েছেন এই হাসপাতালে যা একদিনে সর্বোচ্চ রোগী ভর্তি হওয়ার নতুন রেকর্ড।

আইসিডিডিআরবির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসেন জানান, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এবার ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। এটার কারণ মূলত বিশুদ্ধ পানির অভাব। ঢাকা শহরেই আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।

আইসিডিডিআরবির গণসংযোগ বিভাগ জানায়, সারা বছরই ডায়রিয়া হয়। তবে এ বছরের মার্চ মাস থেকে এর প্রকোপ বেড়ে গেছে। মার্চ থেকে এ পর্যন্ত মহাখালী কলেরা হাসপাতালে ৪৩ হাজারেরও বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মার্চ মাসে ভর্তি হয়েছেন ৩০ হাজার ৫০০ জন। আর চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ৩০০-এর বেশি রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ৮ এপ্রিল ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৮২ জন। এখন প্রতি ঘণ্টায় ওই হাসপাতালে প্রায় ৬০ জন ভর্তি হচ্ছেন।

আরবিসি/১৩ এপ্রিল/মানিক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category