আরবিসি ডেস্ক : নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে পাহাড়ের অধিবাসীদের প্রধান উৎসব বৈসাবি। চাকমা, মারমা, ত্রিপুর, তংচঙ্গ্য আর অহমিয়া সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈ-সা-বি ও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এখন উৎসবের নগরীতে পরিণত। করোনার কারনে দুই বছর পর এবার বেশ আনন্দমুখর ভাবে বৈ-সা-বি ও বাংলা নববর্ষকে পালন করা হচ্ছে।
উৎসবের প্রথম দিনে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিসু, বিহু উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আদিবাসীদের ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে ফুল বিজু উৎসবের সূচনা করা হয়।
রাঙ্গামাটি রাজবনবিহার ঘাটে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে ফুল বিজুর দিনকে স্বাগত জানানো হয়। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান এই ফুল ভাসানোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আনুষ্ঠানিক সুচনা করেন।
আদিবাসী চাকমা নারী-পুরষ ও শিশু-কিশোররা ফুল পানিতে ভাসিয়ে ফুল বিজুকে স্বাগত জানায়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমাসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বৈসাবির প্রথম দিন ফুল বিজুকে কেন্দ্র ১২ এপ্রিল ত্রিপুরাদের সামাজিক উৎসব বৈসু। প্রথম দিনে নদীতে ফুল ভাসানো, বয়স্কস্নান, বস্ত্রদান ও গড়াইয়া ও কাথারক নৃত্যের মাধ্যমে উৎসবটির সূচনা করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি শহরের গর্জনতলীতে ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ উৎসবে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অং শৈ প্রু চৌধুরী। বৈসুতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ অংশ নেয়।
উৎসবের প্রথম দিনে ফুল বিজুতে সবাই খুব ভোরে উঠে নদী কিংবা ঝরনায় গিয়ে স্নান করে। বাড়ির ছেলেমেয়েরা পাহাড় ও নার্সারী থেকে ফুল পাতা সংগ্রহ করে নিজ নিজ ঘর সাজায়।
নদীর ঘাটে গিয়ে গঙ্গা বা জলদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে পূজা করা, সকলে মিলে বুদ্ধ মূর্তিকে স্নান করানো, নদী থেকে পানি এনে বুড়া/বুড়িদের গোসল করিয়ে যুবক/যুবতীরা আর্শিবাদ গ্রহণ করে।
রাতে প্রদীপ পূজা, ঘরের আঙ্গিনায়, গোয়াল, ঢেঁকি ঘরে, নদী বা কুয়ার পাড়ে সাড়ি সাড়ি প্রদীপ জ্বালিয়ে সমস্ত গ্রামকে উৎসবের আলোতে উদ্ভাষিত করে রাখা হয়।
আরবিসি/১২ এপ্রিল/ রোজি