• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান শাখায় হাতাহাতি রাজশাহীতে লাঞ্ছিতের পর ১২ ঘন্টা মেসে অবরুদ্ধ ছাত্রীরা, গ্রেপ্তার ৩ গভীর রাতে রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের দফায় দফায় গু’লি বর্ষণ, জনমনে আতঙ্ক রাজশাহীর বাগমারায় তেলের ট্রাক বিস্ফোরণে পুড়লো ৪শ ব্যারেল তেল, ৮ দোকান রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫

চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে রোগীর ২ স্বজন আটক

Reporter Name / ১৩২ Time View
Update : রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার দিবাগত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে লাশ আটকে রেখে দুইজনকে পুলিশে দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

জানা যায়, নগরীর দৌলতপুরে কারিকর পাড়ার মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী পিয়ারুন্নেছা (৫৫) গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। চিকিৎসায় অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে এ অভিযোগ এনে ইন্টার্ন চিকিৎসক কামরুল হাসানের সাথে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে রোগীর স্বজনরা। এসময় পিয়ারুন্নেছার মরদেহ আটকে রেখে তার দুই ছেলে তরিকুল ইসলাম কবির এবং সাদ্দাম হোসেনকে পুলিশে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা বর্তমানে সোনাডাঙ্গা থানায় আটক রয়েছেন।
নিহতের স্বামী মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বুকে ব্যাথা ও পায়খানা-প্রসাব না হওয়ায় গত শুক্রবার রাতে মেডিকেল হাসপাতালের ৩য় তলায় ১১-১২ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে আমার স্ত্রীর অবস্থার অবণতি হয়। ডাক্তার ডাকলেও তারা আসেনি বরং সেখানে রোগীকে নিয়ে যেতে বলে। একপর্যায়ে কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলে। এভাবে সময়ক্ষেপণে রাতে ছটফট করতে করতে আমার স্ত্রী মারা যায়। এদিকে মায়ের মৃত্যুর পর ছেলেরা কেন ডাক্তার আসেনি জানতে গেলে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় ডাক্তার, ওয়ার্ডবয়সহ অন্যরা একত্রিত হয়ে আমাদেরকে মারধর ও আমার দুই ছেলেকে পুলিশে দিয়েছে।’

এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, মানুষ মারা গেলে একটি প্রক্রিয়া আছে। লাশ আটকানোর কিছু নেই। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ ওই দুইজনকে নিয়ে গেছে। কোনো জিডি বা মামলা করিনি তাদের বিরুদ্ধে।

রোগীর স্বজন মামুন জানান, আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে লাশ ছাড়া হয়নি। আটক দুইজনকেও ছাড়া হয়নি।

আরবিসি/১০ এপ্রিল/মানিক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category