আরবিসি ডেস্ক : বাংলা নববর্ষ সামনে রেখে ব্যস্ত মুন্সীগঞ্জের কুমারপাড়া। তৈরি হচ্ছে হরেক রকমের মাটির তৈজসপত্র। করোনায় পরপর দুটি মেলা না হওয়ায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন মৃৎশিল্পীদের।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুরের কুমারপাড়ায় এখন দম ফেলার ফুরসত নেই মৃৎশিল্পীদের।
লোকজ ঐতিহ্যের ধারা অনুযায়ী, বৈশাখী মেলায় রং বেরঙের উপকরণ তৈরি করেতে রাতদিন ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।
মৃৎশিল্পীরা জানান, আগে ব্যবহার উপযোগী করতে হয় মাটি। এরপর নিপুণ হাতের পরশে তৈরি করা হয় হাতি, ঘোড়া, পুতুলসহ নানা তৈজসপত্র। এরপর চলে রোদে শুকানো, আগুনে পোড়ানো ও রঙের কাজ। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বংশপরম্পরায় জীবিকা নির্বাহের এ পেশাটি ধরে রাখতে জেলার সব কুমারপল্লিতে বছরের এ সময়ের চিত্র এমনই।
করোনার বিধিনিষেধে পরপর দুই বছর বৈশাখী মেলা না হওয়ায় ক্ষতির মুখে থাকা মৃৎশিল্পীরা এবার দেখছেন আশার আলো।
ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল রহিম বলেন, ‘প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিবর্তে যদি মাটির এই তৈজসপত্রগুলো ব্যবহার করা যায় তাহলে সেটি একদিকে হবে স্বাস্থ্যসম্মত, অন্যদিকে যারা এসব পেশার সঙ্গে জড়িত তারাও উপকৃত হবে।’
মুন্সীগঞ্জ জেলার অধিকাংশ কুমার পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস এই বৈশাখী মেলা।
আরবিসি/৬ এপ্রিল/মানিক