আরবিসি ডেস্ক : সারাদেশে গরম পড়লেও গত কয়েকদিন ধরে শীতের আমেজ রংপুরসহ উত্তরের জেলাগুলোতে। দিনভর আকাশের গোমরা মুখ আর রাত হলেই শীত। বৈদ্যুতিক ফ্যান বন্ধ রেখে অনেককেই গায়ে নিতে হচ্ছে কাঁথা-কম্বল। মাঝেমধ্যে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে হাল্কা ঝিরি বৃষ্টি। অথচ প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী ষড়ঋতুর এই দেশে এখন চৈত্রের খরতাপে মানুষসহ প্রাণীকুলে জীবন ওষ্ঠাগত হওয়ার কথা।
আবহাওয়ার নিয়মবিরুদ্ধ এই আচরণে মানুষ সুখানুভূতি লাভ করলেও এটি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে এই অঞ্চলে উত্তরে শীতল হাওয়া আর থেকে থেকে হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে। চার দিনে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ডের কথা জানিয়েছে রংপুরের আবহাওয়া অফিস।
দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় হাল্কা শীতের অনুভূতিতে ফুলশার্ট পড়ে অফিস-আদালতে কাজ করতে অস্বস্তি নেই কারও। বন্ধ রাখা হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ও বৈদ্যুতিক পাখা। নগরীর আশেপাশের গ্রামগুলোতে ভোরবেলা ঘরছাড়া কর্মজীবী মানুষকে গায়ে হাল্কা গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হতে হচ্ছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান গত ৪ দিনে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ডের তথ্য দিয়ে বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতাবৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই অসমে এই বৃষ্টিপাত। সঙ্গে উত্তরে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে কয়েক দিন ধরে। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন বিরাজ করবে। কিন্তু চৈত্রের দাবদাহের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এটি প্রকৃতির বিরূপ আচরণ বলে মনে করেন কামরুল হাসান।
এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে হঠাৎ শীতের অনুভূতির ফলে অনেকের গলাব্যাথা, জ্বর ও সর্দির মতো রোগবালাই দেখা দিতে পারে। বিশেষত শিশুদের নিয়ে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পারতপক্ষে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে প্রয়োজন অনুসারে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ রাখা ও হাল্কা কাঁথা গায়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। শিশুদের বেলায় বাড়তি সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলছেন তারা।
আরবিসি/৩ এপ্রিল/মানিক