আরবিসি ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে মাদ্রাসাছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও অপহরণের অভিযোগে করা মামলার বাদী ওই ছাত্রীর মায়ের বিরুদ্ধে এবার মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই মা তার মেয়েকে (১৭) জোর করে যৌনকর্মে বাধ্য করেছেন। মামলায় আলাইয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানসহ আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
এদিকে, কিশোরীকে যৌনকর্মে বাধ্য করার প্রতিবাদে ও দোষীদের বিচারের দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, পুলিশের করা মামলায় অভিযুক্ত ১নং আসামি ওই মা বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার মেয়েকে ধর্ষণ, বিবস্ত্র করে ছবি ধারণ ও অপরহরণ করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে চারজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন।
ওই মামলার অভিযোগের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে আসামি ফয়সাল, সাইফুল ইসলাম ইমন ও জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার সাভারের পুরগাঁও এলাকার একটি বাসা থেকে ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ওই কিশোরী আদালতে জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম কিশোরীর দেওয়া জবানবন্দি ও মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিকটিমকে তার মা টাকার বিনিময়ে জোর করে বিভিন্নস্থানে যৌনকর্মে বাধ্য করেছেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করলে কয়েকবার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মারধর করেন তার মা। আগের মামলার সাক্ষী ও বর্তমান মামলার আসামি মোজ্জামেল হোসেন ওই কিশোরীর সঙ্গে যৌনকর্ম করতেন।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকেলে আলাইয়াপুর ইউনিয়নের নাফিতের পোল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও হীরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, ওই মাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আনিসসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরবিসি/০৩ মার্চ/ রোজি