• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সার সঙ্কটে রাজশাহীতে ব্যাহত হচ্ছে আলুচাষ, দামও অতিরিক্ত রাজশাহীতে ফের বাস ও সিএনজি চালকের সংঘর্ষ, দুই পক্ষের মীমাংসা স্থগিত কিডনি রোগীর চিকিৎসা আর আইফোন কিনতে ডাকাতির চেষ্টা: পুলিশ তনুর গ্রাফিতিতে পোস্টার সাঁটানো নিয়ে যা বললেন মেহজাবীন

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

Reporter Name / ১২৭ Time View
Update : বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী বশির মিস্ত্রিকে (৬০) আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার এক হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। আজ বুধবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, স্ত্রী হত্যার ঘটনা আদালতে বশির দোষি সাব্যস্ত হয়েছে। রায়ের সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত বশির রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর (আদর্শ গ্রাম) গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

এজাহার সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে নোয়াখালী জেলার চরজব্বার ইউনিয়নের চরপানা উল্যা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে মমতাজকে বশির বিয়ে করেন। এটি বশিরের দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম সংসারে তার দুই ছেলে ও চার মেয়ে। বশির-মমতাজের সংসারেও হোসেন আহম্মদ ও আপন নামে দুই ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মমতাজকে বশির মারধর করতেন। ঘটনাগুলো মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকার সালিসি বৈঠকও করা হয়। এরপরও মমতাজকে স্বাভাবিক হননি। বিভিন্ন সময় মমতাজ পরিবারের লোকজনকে ফোন দিয়ে কান্না কাটি করতো। বশিরের আগের সংসারের ছেলেমেয়েরা মমতাজকে ভালো চোখে দেখতন না।

এদিকে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মমতাজকে বশির ঘর থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। মমতাজের ডান গাল ও গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে বশির সেখান থেকে স্থানীয় টাংকি বাজারে যায়। সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে স্ত্রীকে খোঁজার নাটক সাজান তিনি। নিজেই সয়াবিন ক্ষেতে লাশ খুঁজে নিয়ে প্রচার করেন কে বা কারা মমতাজকে হত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। পরদিন মমতাজের ভাই মো. জসিম বাদী হয়ে বশির ও অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি রামগতি থানা পুলিশ আদালতে বশিরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

আরবিসি/২৩ মার্চ/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category