• শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

কাটাখালী পৌর ফান্ড থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা গায়েব!

Reporter Name / ৭৬ Time View
Update : শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ প্রতিহতের ঘোষণা দেয়া আব্বাস আলীকে মেয়র পদ থেকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরা। একই সঙ্গে দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান তারা। শুক্রবার সকালে পৌরসভা ভবনে প্রতিবাদ সভায় এ দাবি জানান কাউন্সিলররা।

প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন ১২ জন কাউন্সিলর। এতে সভাপতিত্ব করেন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান। তিনি মেয়রকে অপসারণে অনাস্থা প্রস্তাবের রেজুলেশন সাংবাদিকদের পড়ে শোনান।

এ সময় তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের জরুরী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মেয়রকে অপসারণে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রিহীত হয়। রাতেই সেটি জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া হয়েছে। কাটাখালী পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা মেয়র আব্বাসের আগ্রাসন থেকে মুক্তি চায়।

মঞ্জুর রহমান আরও বলেন, রাজস্ব আদায়ের পৌরসভার ফান্ডের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ছিল। এখন চা খাওয়ার টাকাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। হটাৎ করে পৌর ফান্ডের টাকা গায়েব হয়ে গেছে। বিষয়টি দ্রুত তদন্তের দাবি জানান মঞ্জুর রহমান।

তিনি বলেন, করোনাকালিন অনুদান দেয়ার জন্য কাটাখালি বাজারের কাপড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে মেয়র আব্বাস। কিন্তু সে টাকা কাউকে দেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেয়। কারোনাকালে চা ব্যবসায়ীদের অনুদান দেয়ার নামে কয়েক লাখ টাকা পৌরসভার ফান্ড থেকে হাতিয়ে নেয় মেয়র আব্বাস। কিন্তু কোন চায়ের দোকানদার করোনাকালে অনুদান পেয়েছে তা কোন কাউন্সিলর বলতে পারবে না।

কাউন্সিলর মঞ্জুর বলেন, প্রতি মাসে মেয়র আব্বাসের প্রতি মাসে অবৈধ্য আয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। এটি তিনি গর্ব করে বলে থাকেন। সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমকর্মীদেরও এ কথা বলেছেন; যা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবাদ সভায় ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ বলেন, পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ৩৬ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ফান্ডে টাকা থাকার পরও মেয়র আব্বাস এই বেতন-ভাতা দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, মেয়র আব্বাস কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জোর করে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। কেউ স্বাক্ষর না করলে তাকে চাকরিচ্যুতসহ নানাভাবে হুমকি দেয়। এছাড়াও তার কাজের কোন প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতো মেয়র আব্বাস।

তিনি বলেন, আত্মীয়-স্বজনদের নামে ঠিকাদারী লাইসেন্স করে নগর অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ মেয়র নিজে করতো। আত্মীয়-স্বজনদের নামে হাট-ঘাট ও যানবাহনের টোল আদায়ের ইজারা নিজে ইজারা নিয়েছেন। এসব টোল আদায়ের নামে নিজের লোকজন দিয়ে চাঁদাবাজি করে। এসব নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেয়াসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভিতি দেখাতেন মেয়র আব্বাস।

আরবিসি/২৬ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category