• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান শাখায় হাতাহাতি রাজশাহীতে লাঞ্ছিতের পর ১২ ঘন্টা মেসে অবরুদ্ধ ছাত্রীরা, গ্রেপ্তার ৩ গভীর রাতে রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের দফায় দফায় গু’লি বর্ষণ, জনমনে আতঙ্ক রাজশাহীর বাগমারায় তেলের ট্রাক বিস্ফোরণে পুড়লো ৪শ ব্যারেল তেল, ৮ দোকান রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫

ইভ্যালির ৩৬ হিসাবে ৩৮৯৮.৮২ কোটি টাকার লেনদেন

Reporter Name / ৭৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৩৬ হিসাবে মোট ৩৮৯৮.৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। উচ্চ আদালতে দাখিল করা বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইভ্যালি ডটকমের চেয়ারম্যান, এমডি এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামে ১৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬৭টি হিসাবের আনুষঙ্গিক দলিলাদি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। হিসাবসমূহের লেনদেনের বিবরণী থেকে দেখা যায় যে, ইভ্যালি ডটকম লিমিটেড ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাপ্ত ৩৬টি হিসাবে (সঞ্চয়ী, চলতি) মোট ৩৮৯৮.৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এর মধ্যে জমা প্রায় ১৯৫৬.১৯ কোটি টাকা ও উত্তোলন হয়েছে প্রায় ১৯৪২.৬৩ কোটি টাকা। এসব হিসাবে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ভিত্তিক স্থিতির পরিমাণ ২.১৩ কোটি টাকা।

আরও ১০টি হিসাব শনাক্ত হওয়ায় চলতি বছরের ১০ আগস্টে সিআইডির কাছে ৭৭টি (৬৭ ও ১০) হিসাবের তথ্য পাঠানো হয়েছে। কার কার নামে কখন এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পৃথক তিনটি রিটে বিভিন্ন প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট কী পদক্ষেপ নিয়েছে, ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কী এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী, তাও জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব, মোহাম্মদ শিশির মনির ও আনোয়ারুল ইসলাম বাধন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

আর ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জ কোটি কোটি টাকা আটকে থাকা ৩৩ জন গ্রাহক ডিজিটাল বা ই–প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরির জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী ও অন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন। তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-ওরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির আরেকটি রিট করেন।

রিটে কোনো ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থতায় ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের ক্ষতি ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আরবিসি/২৫ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category