• মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ হিসাব জমা দিতে হবে, মন্ত্রিপরিষদের নীতিমালা জারি পলিথিনের শপিং ব্যাগ উৎপাদনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু শিবিরের ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বুধবার নাটোরে পাওনা ২০০ টাকা চাওয়ায় দোকানদারকে কুপিয়ে হত্যা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ রাজশাহীতে এক দফা দাবিতে নার্সদের কর্মবিরতি দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনারা সুর পাল্টে কথা বলছেন: অন্তর্বর্তী সরকারকে ডা. জাহিদ রডে ঝুলছিল আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ, স্ত্রীর দাবি ‘হত্যা’ জানাজা থেকে ফেরার পথে যুবককে গলা কেটে হত্যা মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

বাসা থেকে বের হচ্ছেন না মেয়র জাহাঙ্গীর

Reporter Name / ৭৬ Time View
Update : রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর বাড়িতেই অবস্থান করছেন। রোববার (২১ নভেম্বর) তিনি সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে অফিসে যাননি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, শনিবার অফিস বন্ধ থাকে। কিন্তু রোববার অফিস খোলা থাকলেও মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তার কার্যালয়ে আসেননি।

জানা গেছে, রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয়দানা এলাকায় তার বাড়িতেই অবস্থান করেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় পর্যন্ত কারও সঙ্গে দেখাও করেননি তিনি।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিস্কারের পর শনিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।

এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

ওই ঘটনায় গাজীপুরের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে গাজীপুরে মেয়র-সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে কয়েক দফা। ৩ অক্টোবর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে এর জবাব দিতে বলা হয়। তিনি জবাবও দেন।

ওই ভিডিওর জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন হয়ে যায়। গাজীপুরে সরকারি নানা কার্যক্রমে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রকারান্তরে এড়িয়ে চলার ঘটনাও ঘটতে থাকে। তার উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে অনড় থাকেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

জাহাঙ্গীর আলম ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও স্থান পান। এরপর গাজীপুরের সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র হন তিনি। এরপর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নগরবাসীর রয়েছে নানা অভিযোগ। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক প্রশস্তকরণের নামে হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি এবং স্থাপনা ভেঙে দেন তিনি। এসব স্থাপনার ক্ষতিপূরণ এবং জমির মূল্য তিনি পরিশোধ করেননি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন নগরের হাজার হাজার মানুষ। এ নিয়ে তার ওপর নগরবাসীর রয়েছে চাপা ক্ষোভ।

আরবিসি/২১ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category