• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার

Reporter Name / ৮৩ Time View
Update : রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতির অহংকার।

রোববার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যেন শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতায় সর্বত্র প্রশংসিত হতে পারেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখে দেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে পারেন সেটাই আমরা চাই। সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব।

তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আজকের দিনটি (২১ নভেম্বর) গৌরবময় স্থান করে আছে। যুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। ডিসেম্বরের শুরুতে সম্মিলিতবাহিনীর সঙ্গে মিত্রবাহিনীর ঐক্যবদ্ধ আক্রমণে পর্যুদস্ত পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আত্মীয়তার সম্পর্ক। আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল। যদিও শেখ কামাল অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য চাকরি ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। জামাল তার প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখে, স্যান্ডহার্স্ট পাস করে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে যোগদান করে। ছোট্ট রাসেলের সবসময় একটা শখ ছিল সে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে আমি সবাইকে হারাই।

এসময় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যুগোপযোগী প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করেছি। গত ১৩ বছরে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছি। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এই পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেই কাজ করে যাচ্ছি। ফলে আজ সমগ্র বিশ্বে সবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন সরকার প্রধান।

তিনি বলেন, মাতৃভূমির সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের যেকোনো ক্রান্তি লগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদা প্রস্তুত। এই বাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। করোনা, মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রশংসা অর্জন করেছে।

বর্তমানে আমরা আবারও সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রদানকারী দেশ হিসেবে গৌরবের স্থানটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

আরবিসি/২১ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category