স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর তানোর উপজেলার মালশিরা (চৌবাড়িয়া) গ্রামে আদিবাসী পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে উচ্ছেদের ‘হুমকিদাতা’ তানোরের ইউএনও পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথকে অপসারণ এবং ভূমিদস্যু হামিদুর রহমানের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১ টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন আদিবাসীরা।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের রাজশাহী জেলার সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়ের সভাপতিত্বে মানবন্ধন চলাকালীন অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি, রাজশাহী জেলা সম্পাদক সুশেন কুমার শ্যামদুয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য বিভূতী ভূষণ মাহাতো, রাজকুমার শাও, মালশিরা গ্রামের ভুক্তভোগী দেবেন মুর্মু, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুন মুন্ডা, সহ-সভাপতি সাবিত্রী হেমব্রম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি রতিশ টপ্য ও আদিবাসী যুব পরিষদের সদস্য উত্তম কুমার মাহাতো প্রমুখ। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রাজশাহী জেলা সভাপতি কল্পনা রায়।
মানববন্ধনে বক্তারা, তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথের অপসারণ ও হামলা, ভাংচুর ও ভূমি জববরদখল চেষ্টাকারী ভূমিদস্যু হামিদুর রহমানকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। এছাড়া তানোরের ভুক্তভোগী আদিবাসী পরিবার ও মালশিরা গ্রামের আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জোর দাবি জানান বক্তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ নবেম্বর ইউএনও পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বিষয়টি সমাধানের নামে ভুক্তভোগী আদিবাসী পরিবারকে ডেকে ভূমিদস্যু হামিদুর রহমানের পক্ষ হয়ে দেবেন মুর্মুকে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও উচ্ছেদের হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী আদিবাসী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে তানোর উপজেলার মালশিরা গ্রামের আদিবাসী সাঁওতাল জাতিসত্তার দেবেন মুর্মুর (৪৫) বাড়িতে হামলা করেন স্থানীয় ভূমিদস্যু হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী। দীর্ঘদিন থেকেই ভূমিদস্যু হামিদুর রহমান আদিবাসী দেবেন মুর্মু’র পৈত্রিক জমি নিজের দাবি করে হুমকি ও উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
আরবিসি/২১ নভেম্বর/ রোজি