• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

‘খালেদাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই’

Reporter Name / ১০০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার(১৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এর আগে বিএনপির সদস্য জি এম সিরাজ পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির দাবি জানান।

এরপর আইনমন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে জামিন দেওয়া হয়েছে। এই ৪০১ ধারায় কোনো বিষয়ে নিস্পত্তির পর আবার সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি আইন মোতাবেক বলছি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বিষয়টি আমি আগেও বলেছি, পুরোনো কথাই বলছি। আইন মোতাবেক অত্যন্ত পরিষ্কার মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাসায় থেকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি সাজাপ্রাপ্ত, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বাংলাদেশের আইনে এর বাইরে আর কিছু নেই। উনারা বলছেন কিন্তু উনারা আইন দেখাতে পারবেন না। তাই আবেদন বিবেচনার প্রশ্নও নেই।

ওনারা বলেছেন শেখ হাসিনাকে মামলা থাকার পরও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এটা অসত্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো সাজাপ্রাপ্ত হননি, এটা সত্য। তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন, তাকে দেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপও তৎকালীন সরকার দেশে আসার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিল। আসম আব্দুর রবকে আইনের কোন ধারায় বিদেশে চিকিৎসার জন্য তারা অনুমতি দিয়েছিল জানি না। তখন দেশে মার্শাল ল ছিল। সামরিক আইন তো সমর্থন করতে পারি না। খালেদা জিয়াকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাতে তারা সন্তোষ্ট হোন আর না হোন।

এর আগে জিএম সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন দিযে বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। জামিন দিয়ে তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন বিরাগের বশবর্তী হবেন না। সম্মান রেখেই বলছি ওনার বক্তব্যের সঙ্গে সেটার অসঙ্গতি দেখছি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে জামিনে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আসম আব্দুর রবকে জামিনে জার্মানিতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল।

খালেদা জিয়া তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, তাকে কেন যেতে দেওয়া হবে না? দেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রী সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি যদি মনে করেন তিনি অনুমতি দিতে পারেন। খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে গেলে সেই দায় আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে। এ সময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা হৈ হুল্লর করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

স্পিকার এ সময় সংসদ সদস্যদের চুপ থাকতে বলেন। সিরাজ বলেন, আমরা ৬/৭ জন সংসদ সদস্য আছি। আমাদেরকে সংসদের অলঙ্কার বলা হয়। যদি খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে যায় তাহলে এখানে থাকা সম্ভব হবে না।

আরবিসি/১৮ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category