• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

এসডিজি অর্জনে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা সময়ের দাবি

Reporter Name / ৯৪ Time View
Update : সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা না থাকলে নিজের অধিকার সম্পর্কে জানা যায় না, প্রতিবাদ করা যায় না অন্যায়ের। শিক্ষাই মেয়েদের শক্তি। এটি তাদের অধিকার। মেয়েদের সুশিক্ষা থাকলে কমে আসবে নারী নির্যাতন। শিক্ষা নারীদের আত্মনির্ভরশীল হতে বেশ সহায়ক। তবে শুধুমাত্র চাকরির জন্য নয়, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা সময়ের দাবি। সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাজশাহীতে ইউনেস্কোর পার্টিসিপেশন প্রোগ্রামের আওতায় ‘বিশ^ নাগরিকত্ব শিক্ষা বিকাশের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউনেস্কো অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়সমূহের প্রসার’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের (এনএইউসিবি) আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এদিনের কর্মশালা রাজশাহীর দুটি স্কুলে সম্পন্ন হয়। প্রথমে সকাল ১০টায় রাজশাহী হেলেনাবাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও পরে বিকেল ৪টায় কলেজিয়েট স্কুল এণ্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মশালা। সকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক ড. শারমিন ফেরদৌস চৌধুরী ও জেলা শিক্ষা অফিসার (মাধ্যমিক) নাসির উদ্দিন। বিকেলে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা। উভয় কর্মশালায় এসডিজি ও বিশ^নাগরিকত্ব অর্জনের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এনএইউসিবি‘র মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, উপদেষ্টা শামসুল মুক্তাদির ও সমন্বয়কারী হাবিবুল হায়দার চৌধুরী।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এসডিজির ১৭টি বিষয়বস্তর মধ্যে চতুর্থ নম্বরে রয়েছে সকলের জন্য ও সর্বস্তরে মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং আজীবন শিক্ষার সুযোগ। যেটি পূরণ করতে হলে দেশের নারীসমাজকে প্রধান্য দিতে হবে। সেজন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে অভিভাবকদের। দেশের বৃহৎ স্বার্থে বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের হতে হবে সমাজের রোল মডেল। দেশকে এগিয়ে নিতে সচেতন হচ্ছেন অভিভাবকরা। বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের জন্য মেয়েদের উচ্চশিক্ষা প্রদানে তাদের সাপোর্ট খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া বিপথে চলে যেতে পারে অল্প বয়সী সন্তানরা। তবে এটি শুধু চাকরির জন্য নয়, দেশের স্বার্থেই হতে হবে।

আরবিসি/২৫ অক্টোবর/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category