আরবিসি ডেস্ক : মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের ওপর কঠোর হলে সেনাবাহিনীকে মারাত্মক ফল ভোগ করতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ।
১ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শহরের সড়কে সড়কে সেনবাহিনীর সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর খবরও পাওয়া গেছে।
সেনবাহিনীর এমন উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অধিকারকে যেন অবশ্যই পুরোপুরি সম্মান করা হয় এবং বিক্ষোভকারীদের প্রতিহিংসার শিকার যেন না করা হয় তা নিশ্চিত করতে চাপ দিয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত শানার বার্জেনার।
‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে তিনি জানান, বিশ্ব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কঠোর কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
এদিকে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে ধরপাকড় চালাতে মিয়ানমার সরকার যে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে, তার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উপ-কমান্ডার সোই উনের সঙ্গে কথা বলার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত শানার বার্জেনার। তিনি বলেন, নেটওয়ার্ক ব্ল্যাকআউট করে দেওয়ায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ খর্ব হবে।
এতে ব্যাংকিংসহ গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাতগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ রাখলে অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা বাড়বে। কাজেই এ বিষয়ে আমরা পরিষ্কারভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
সেনাবাহিনী তাদের তল্লাশি ও আটক করার ক্ষমতার আইনি সীমাবদ্ধতাগুলো স্থগিত করার পর রাতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করছেন তারা।
স্থানীয় অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার গোষ্ঠী বলেছে, নির্বিচারে গ্রেফতারসহ অন্যায় তৎপরতার চালানোর জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের দিন থেকে সোমবার পর্যন্ত ৪২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে।
আরবিসি/১৬ ফেব্রুয়ারী/ রোজি