বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করা হলে জনগণের মধ্যে তো সন্দেহ জাগবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি। ফলে নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি গ্রহণযোগ্য নয়। বিএনপি একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘অপ্রয়োজনীয়’ সংস্কার প্রস্তাব, নতুন দল গঠন এসব ইস্যুতে সন্দেহ বাড়ছে বিএনপিতে। নির্বাচনের বাইরে যারা এসব অপ্রয়োজনীয় ইস্যুকে সামনে এনে নির্বাচনে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি করতে চায়, তাদের ঘিরেই সন্দেহ বিএনপির নীতিনির্ধারক মহলে। এ জন্যই দ্রুত নির্বাচন ও নির্বাচনি রোডম্যাপ দাবি করেছে তারা। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে জাতীয় নির্বাচন দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা দেখছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এ ছাড়া কতিপয় উপদেষ্টার কথাবার্তায়ও নির্বাচনবিরোধী গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাদের কথাবার্তায় বিএনপির মনে হচ্ছে যেন নির্বাচন প্রলম্বিত করতে ‘মাস্টারপ্ল্যান’ রয়েছে। সে অনুযায়ী তারা নির্বাচন ও বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছে। এমনকি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিকেও জনগণের প্রতিদ্বন্দ্বী বানানোর চেষ্টা চলছে। নির্বাচন ও বিএনপিবিরোধী এসব ষড়যন্ত্র যাতে কোনোক্রমেই সফল হতে না পারে, সে জন্য বিএনপি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের দাবিতে ধীরে ধীরে হার্ডলাইনে যাবে বলে জানান তারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ১৭ বছর ধরে আমরা আন্দোলন করিনি। আমাদের নেতা-কর্মীরা গুম-খুন ও হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছে- একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। সুতরাং নির্বাচন দিতে গড়িমসি করা হলে মাঠের কর্মসূচি জোরদার করতেই হবে। দায়িত্বশীলরা জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন মহল থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি উঠেছে, সেটাকে একেবারেই গুরুত্ব দেবে না বিএনপি; বরং দলটি জাতীয় নির্বাচনকে মুখ্য করেই পরবর্তী সাংগঠনিক কর্মসূচি তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।