• বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

সাত কলেজ আলাদা কাঠামোতে চলবে : ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ

Reporter Name / ৮ Time View
Update : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

আরবিসি ডেস্ক : ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস বলেছেন, অধিভুক্ত সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও থাকছে না, আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও থাকছে না। শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সাত কলেজের জন্য আলাদা কাঠামো তৈরি করা হবে।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, ছাত্রদের ছয়টি দাবিই আমরা উত্থাপন করেছি। দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু পদত্যাগ বা এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের এখতিয়ারে নেই।

ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক অত্যন্ত সুন্দর সম্পর্ক হওয়া উচিত। এ সম্পর্কে জ্ঞান আদান-প্রদানের বিষয় থাকে। ফলে এটি খুব জরুরি। আমরা আমাদের ছাত্রদের সঙ্গে এক ধরনের ব্যবহার করি। ঢাবি তাদের ছেলেদের সঙ্গে নিজেদের মতো ব্যবহার করে। তবে ছাত্রদের সঙ্গে যে মৌলিক সম্পর্ক, সেটি সব ছাত্রের সঙ্গে থাকা দরকার। কাল যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এর আগে, দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের জরুরি বৈঠকে সরকারি সাত কলেজকে আলাদা করার সিদ্ধান্তসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা হলো;

১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাবির অধীনে ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

৩) শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী গত ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।

৪) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৫) যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাবির চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category