আরবিসি ডেস্ক : চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মিত অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা পাবেন না রেলওয়ের কর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগের দেওয়া এক চিঠিতে এমন তথ্য জানানো হয়। চিঠিটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া হয়।
তবে আজ শুক্রবার বিষয়টি জানা গেছে।
এদিকে দাবি আদায় না হলে আগামী মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রানিং স্টাফরা।অর্থ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ২১ আগস্ট অর্থ বিভাগের ৯১ নম্বর স্মারকে জারিকৃত পত্রের (খ) অনুচ্ছেদটি অপরিবর্তিত রাখা হলো এবং (ক) অনুচ্ছেদটি নিম্নরূপে সংশোধন করা হলো।সংশোধনে বলা হয়, রানিং স্টাফ হিসেবে চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ ভাতা বা দৈনিক ভাতার পরিবর্তে রেলওয়ে এস্টাবিলিস্টমেন্ট কোডের বিধান অনুযায়ী রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্য হবেন। চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মিত অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা প্রাপ্য হবেন না এবং মাসিক রানিং অ্যালাউন্সের পরিমাণ প্রাপ্য মূল বেতনের চেয়ে বেশি হবে না।
এদিকে মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়া এবং নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। আগামী সোমবারের মধ্যে দাবি মানার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।রেলওয়ের রানিং স্টাফ বলতে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকদের (টিটিই) বোঝানো হয়।
তারা ১৬০ বছর ধরে মাইলেজ সুবিধা পাচ্ছিলেন। অর্থাৎ দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মজিবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল কর্মবিরতি পালন করলে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এরপর বারবার আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিলেও সংকটের কোনো সমাধান এখন পর্যন্ত হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তিনবার সময় দেওয়া হয়েছে।