টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট উপহার নিয়েছেন তিনি। অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে আহ্বান জানান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনক।
এর একদিন পরই টিউলিপকে পদ ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানায় দুর্নীতিবিরোধী জোট ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশন। এই জোটে রয়েছে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও অক্সফামের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন।
বিবৃতিতে জোটটি জানায়, টিউলিপ ব্রিটিশ সরকারে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলার দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। তাই পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত টিউলিপের।
এদিকে, শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে কখনোই আলোচনা হয়নি দাবি করলেও গণভবনে মিলেছে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনি প্রচারপত্র, লেবার পার্টির পোস্টারসহ টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু জিনিস।
যুক্তরাজ্যের দ্য সানডে টাইমস বলছে, টিউলিপকে বিদেশি বিশিষ্টজনদের উপহার দেওয়া পোশাক-গয়না, দামি কলমের মোড়কসহ নানা জিনিস গণভবনে পড়ে থাকতে দেখেছেন তাদের প্রতিবেদক।