• শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে অপহৃত নারী চিকিৎসকের সন্ধান মেলেনি

Reporter Name / ১১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীতে নিজ বাসা থেকে অপহৃত হওয়া নারী চিকিৎসকের দুই দিনেও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

একই সঙ্গে ওই গাড়িতে অপহরণকারী ব্যক্তিরা ওই চিকিৎসকের বাবাকেও তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা এলাকায় রাস্তায় চিকিৎসকের বাবাকে ফেলে চলে যায়। সোমবার রাতে অপহরণের অভিযোগে তিনি (চিকিৎসকের বাবা) বাদী হয়ে রাজশাহী নগরের চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা করেন। অপহরণকারী ব্যক্তিরা ওই চিকিৎসকের মাকে (৫১) পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপহরণের শিকার ওই নারী চিকিৎসক রাজশাহীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে সম্প্রতি ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) শেষ করেছেন। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তাঁদের বাসা রাজশাহী নগরে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন মঙ্গলবার দুপুরে জানান, পুলিশের দিক থেকে ওই চিকিৎসককে উদ্ধারের সব ধরনের তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবারই সিরাজগঞ্জের সলঙ্গ থানা থেকে তার বাবাকে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বাদী হয়ে রাতে নগরের চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ অপহরণের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি নম্বরসহ শনাক্ত করতে পেরেছে। এই নম্বর বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এখন কড়া নজরদারি চলছে।

চন্দ্রিমা থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, বাদী অপহরণকারী ব্যক্তিদের চিনতে পেরেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে তিনি এজাহারভুক্ত আসামিদের বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি।

অপহৃত চিকিৎসকের মামা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে তাঁর দুলাভাইকে আবার থানায় ডেকে নেওয়া হয়। তিনি কথা বলতে পারছেন, কিন্তু ভীষণ অসুস্থ। তাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে|

এর আগে সোমবার অপহৃত চিকিৎসকের মা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য তার স্বামী মসজিদে যান। এ সময় তিনি বাইরের গেটে তালা লাগিয়ে চাবি সঙ্গে নিয়ে যান। একটু পরই তালা খোলার শব্দ পেয়ে তিনি এগিয়ে যান, এত তাড়াতাড়ি নামাজ না পড়ে ফিরে আসছেন কি না তা দেখতে। দেখতে গিয়ে বুঝতে পারেন, অপহরণকারী ব্যক্তিরা তাঁর স্বামীকে জিম্মি করে চাবি নিয়ে এসেছে।

এ সময় অপহরণকারী ব্যক্তিরা তাঁকে ধরে দেয়ালের সঙ্গে মাথা ঠুকে দেয়। মাথায় তালা দিয়ে আঘাত করে। এরপর তারা তাঁর গলা চেপে ধরে। তারা যখন তাঁকে ছেড়ে দেয়, তখন তিনি দৌড় দিয়ে নিচে নেমে রাস্তার ওপর পড়ে যান। ততক্ষণে অপহরণকারী ব্যক্তিরা তাঁর মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে চলে যায়।#

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category