নিজস্ব প্রতিবেদক : বর-কনের বিয়ে পড়ানো শেষ। কমিউনিটি সেন্টারভর্তি অতিথিরা তখন খাবার খাওয়ায় ব্যস্ত। হঠাৎ বরের প্রেমিকা দাবি করে অনুষ্ঠানে হাজির হন এক নারী। শুরু হয় হইচই। একপর্যায়ে জোর করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয় মেয়েটিকে।
মেয়েটির ভাষ্য, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করবেন তিনি।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরের মনিবাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঘটনাটি ঘটে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
প্রেমিকা দাবি করা মেয়েটির বাড়ি কুড়িগ্রামে। চাকরির প্রস্তুতি নিতে ঢাকায় থাকেন। পড়ালেখা করেছেন রংপুরের কারমাইকেল কলেজে। বিয়ের পিড়িতে বসা যুবক কারমাইকেলে তার সহপাঠী ছিলেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বাড়ি রাজশাহীতে। শুক্রবার এক নারী আইনজীবীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
মেয়েটির দাবি, কলেজ জীবনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তারা। কলেজ শেষ করে তারা ঢাকায় ছিলেন একসঙ্গে। ২০২১ সালে ওই যুবক তাকে বিয়েও করেছেন। যদিও বিয়ের কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি তাকে।
তিনি আরো জানান, ঢাকা থেকে চলে আসার পর তার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন প্রেমিক। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তার (প্রেমিক) বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। বিয়ে ঠেকাতে সম্প্রতি তিনি ওই যুবকের বাড়িতেও যান। তবে, দুর্ব্যবহার করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মেয়েটি জানান, বাধ্য হয়ে যে মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেমিকের বিয়ে ঠিক হয়, তার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। তারপরেও কিছু হয়নি। তাই তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানেই ছুটে আসেন ঢাকা থেকে। কথার কোনো গুরুত্ব না দিয়ে তাকে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। স্বীকৃতি না পাওয়ায় এখন তিনি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করবেন বলেও জানান।
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত প্রেমিকের চাচা ও খালু দাবি করা দুই ব্যক্তি নাম প্রকাশে রাজি না হয়ে বলেন, মেয়েটির উদ্দেশ্য ভাল নয়। তিনি তার বিয়ের প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তাদের বিব্রত করার জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানে ছুটে আসেন এই মেয়ে।
রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ থাকাকালেই মেয়েটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চলে যান। থানায় তিনি কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।”