আরবিসি ডেস্ক: সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বেচতে রাজি হয়েছেন উৎপাদক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বৈঠক শেষে ফের উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিম নির্ধারিত দামে বিক্রি নিশ্চিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোক্তাপর্যায়ে ডিম বিক্রি হবে ১৪২ টাকা ডজন। আগামীকাল বুধবার থেকে এই দাম কার্যকর করতে ব্যবসায়ীরা রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা শূন্য ১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা; ব্রয়লার মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা এবং সোনালি মুরগির দাম উৎপাদক পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারিতে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই দাম কার্যকর হয়নি। দেশের সব বাজারেই এর বেশি দামে ডিম ও মুরগি বিক্রি হচ্ছে।
আজ বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
ভোক্তা অধিদপ্তরের বৈঠকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিম উৎপাদক কাজী ফার্ম, ডায়মন্ড, প্যারাগনের মতো কোম্পানির প্রতিনিধিরা ছিলেন। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া, সহ–সভাপতি হারুনুর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম কেনাবেচার জন্য সব পক্ষ রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতি ১০০ পিস ডিম ১ হাজার ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে পারব। সেই হিসাবে খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় বিক্রি করতে সমস্যা হবে না বলে মনে করি।’
আগামীকাল বুধবার থেকে ফের ডিম আমদানি শুরু হবে বলে জানান আমানত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আজকে (মঙ্গলবার) থেকে স্থানীয় পর্যায়ে যেসব ডিম পাওয়া যায়, সেগুলো আনা শুরু করব। আর ফার্মগুলো যখন থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে, তখন থেকেই আমদানি করা শুরু করব।’
ডিমের দাম আবার বেড়েছে, একেক পক্ষের একেক যুক্তিডিমের দাম আবার বেড়েছে, একেক পক্ষের একেক যুক্তি
আমানত উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের বাজার থেকে প্রতিদিন ২০ লাখ সরবরাহ হতো। ফার্মগুলোকে আমরা প্রতিদিন ৩০ লাখ ডিম দেওয়ার কথা বলেছি। এর জায়গায় যদি ২৫ লাখও দেয়, আর আমরা আরও ১৫ থেকে ২০ লাখ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করি, তাহলেও তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজার মিলিয়ে প্রতিদিন ৫০ লাখের মতো ডিম সরবরাহ করা যাবে। তাহলে ফের বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে আশা করা যায়।’