আরবিসি ডেস্ক:দুধ ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এ ছাড়াও এতে রয়েছে পটাশিয়াম, জিংক, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, ওমেগা ৩ ও ৬, ভিটামিন বি ১২, খনিজ, ফসফরাস, রিবোফ্লভিন ইত্যাদি। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ ডায়েটে রাখা জরুরি।
দুধ ক্যালসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস। ছবি
কিন্তু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ প্রথম সারির এ খাবার কীভাবে খাবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিভেদে ও শরীরের কাঠামো অনুযায়ী, কারো ক্ষেত্রে দুধ ঠান্ডা আবার কারো ক্ষেত্রে দুধ গরম করে খেলে বেশি কাজে আসে।
আবার অনেকে রাতের বেলা দুধ খাওয়াকে উপযুক্ত সময় মনে করে। রাতে দুধ খাওয়ার কিছু উপকারিতা আছে, যা স্বাস্থ্য এবং ঘুমের গুণগত মান উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। জেনে নিন দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
১. ভালো ঘুম: দুধে ট্রিপ্টোফ্যান ও মেলাটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা ঘুম আনার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। ট্রিপ্টোফ্যান সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন তৈরি করে, যা ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। তাই রাতে দুধ খেলে অনেকের ঘুমের মান উন্নত হয়।
২. পেশির পুনর্গঠন: দুধে প্রোটিন থাকে, যা রাতে শরীরের পেশিগুলো পুনর্গঠনে সাহায্য করে। যারা শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী।
৩. হজমে উন্নতি: রাতে হালকা গরম দুধ খেলে হজমের সমস্যা কমে এবং পেটের সুরক্ষা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে ল্যাকটোজ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহায়ক করে।
৪. ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ: দুধ ক্যালসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। রাতে দুধ খেলে ঘুমের সময় শরীর প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারে।
৫. স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমায়: দুধে উপস্থিত কিছু উপাদান মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে, ফলে ঘুমের আগে দুধ খেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যেতে পারে।
তবে কিছু সতর্কতাও রয়েছে-
১. কিছু মানুষের ল্যাকটোজ হজম করতে সমস্যা হয়। তারা রাতে দুধ খেলে হজমের সমস্যায় ভুগতে পারেন।
২. অতিরিক্ত দুধ খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে, বিশেষত যদি দুধের সাথে মিষ্টি বা চিনি মেশানো হয়।