নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবুল কালাম আজাদকে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ তাকে আদালতে তোলে। পরে আদালত তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত থেকে বের করা হলে বিক্ষুব্ধ জনতার একজন সাবেক এমপি কালামের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। তবে হেলমেট পরে থাকায় রক্ষা পান সাবেক এই এমপি কালাম। পরে পুলিশ দ্রুতই তাকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ আগে বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পান। এরপর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। পরে স্ত্রী খন্দকার শাইলা পারভীনকে পৌরসভার মেয়র করেন তিনি। এমপি হওয়ার পরে মাত্র সাত মাসেই বাগমারায় অন্তত তিন হাজার একর পুকুর কেটে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন কালাম এবং তার অনুসারিরা। এর বাইরে তিনি মেয়র থাকাকালিন পৌরসভার কোটি কোটি টাকা লোপাট করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক মো. আমান উল্লাহ জানান, বিকেলে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদকে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে বাগমারা থানা-পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা থেকে রাজশাহী আনে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ৫ আগস্ট বাগমারায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা পাঁচটি মামলার আসামি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ। আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে সব মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।