নিজস্ব প্রতিবেদক: “১০ম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, আমাদের অধিকার” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতি বাস্তবায়নের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় পবা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকদের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এসময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দিয়ে তাদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, একই যোগ্যতা ও কারিকুলাম নিয়ে পিটিআই এর শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন পান। তাছাড়া অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রেও এইচ.এস.সি পাশ করা সকলে ওই একই গ্রেডে বেতন পান। তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ের সহকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বৈষম্য রাখার অর্থ কি? এই বৈষম্য তুলে দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিক পর্যায়ের সহকারী শিক্ষকদের দাবি মানতে হবে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি মানার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, সহকারী সকল শিক্ষকদের তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বেতনে পরিবার নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই আমাদের ১০ম গ্রেডে পদোন্নতি করতে হবে। তা না হলে কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও এ দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে প্রতিটি বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ারও হুশিয়ারী দেন আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকরা।
মানববন্ধন শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন বায়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পাপিয়া খাতুন, বিলনেপল পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আকমল, কুপাকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল রানা, দর্শনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইস্রাফিল সরকার, বড়গাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুকলেস, খড়খড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানিয়া সহ পবা উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।